নাটোরের সিংড়া উপজেলায় মসজিদে সিঁড়িতে ওসমান গণি নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনায় তার একমাত্র ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে সিংড়া আমলি আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সিংড়ার চৌগ্রামের বাসা থেকে আসাদুজ্জামান বল্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আসমাউল বলেন, ব্যবসায়ী ওসমান গণিকে গুলির ঘটনার ১৮ দিনের তদন্ত শেষে তার একমাত্র ছেলেকে আসাদুজ্জামান আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। সে পিস্তল দিয়ে তার বাবাকে গুলির কথা স্বীকার করে।
“বুধবার বিকালে তাকে সিংড়া আমলি আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। পরে জবাবনবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।”
গুলিবিদ্ধ ওসমান গণি সিংড়ার চৌগ্রামের আবদুল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে ধান-চালের ব্যবসা করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হন ওসমান গণি। পরে চৌগ্রাম পারুহারপাড়া এলাকায় মসজিদে পৌছানোর পরে সিড়িঁতে উঠতেই তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। গুলিটি ওসমানের কোমরের পেছনে বাঁ পাশে লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার দিন ওসমানের মেয়ে বেবি খাতুন সিংড়া থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার এসআই মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর আসাদুজ্জামান বল্টু জানান, তার ব্যক্তিগত ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দেনা ছিল। তাই বাবাকে হত্যার পর সম্পদ বিক্রি করে ঋণ শোধ করবে এবং পরবর্তীতে সকল সম্পদ ভোগ করার পরিকল্পনা করেন।
“সেই চিন্তাভাবনা থেকেই ঢাকা থেকে পিস্তল কিনে ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় অন্ধকারে বাবাকে গুলি করে বল্টু।”
আপনার মতামত লিখুন :