কুমিল্লায় দুই নারীকে টেঁটাবিদ্ধের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার ভাতিজি ও নাতনিকে টেঁটাবিদ্ধ করেন। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জেলার মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের হীরারকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধদের একজন হোসনা আক্তারের বোন আছমা বেগম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত হোসনা আক্তার মজিবুর রহমানের ভাই লিল মিয়ার মেয়ে। অপরজন হোসনার বোনের মেয়ে আফসানা আক্তার লিজা।
স্থানীয়রা জানান, হোসনা আক্তারের বাবা লিল মিয়া চার বছর আগে মারা যান। মৃত্যুর আগে লিল মিয়া তার স্ত্রী জামেনা বেগমের নামে বাড়ির জায়গা দলিল করে দেন। মৃত্যুর পর ভাই মজিবুর রহমান বাড়িটি দখল করার জন্য জামেনা বেগমের ওপর নির্যাতন করে আসছেন। মঙ্গলবার জামেনা বেগম নিজের বাড়ির জায়গায় লাকড়ি শুকাতে দেন। এটি তাদের জায়গা নয় বলে দাবি করেন মজিবুর রহমান।
জামেনা বেগম প্রতিবাদ করলে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা তাকে মারধর করতে থাকেন। পার্শ্ববর্তী শ্বশুরবাড়ি থেকে জামেনা বেগমের মেয়ে হোসনা আক্তার ও নাতনি আফসানা আক্তার লিজা তাকে উদ্ধার করতে যান। একপর্যায়ে মজিবুর রহমান ঘর থেকে মাছ ধরার টেঁটা এনে আফসানা আক্তার লিজাকে আক্রমণ করেন। লিজাকে বাঁচাতে গিয়ে হোসনা আক্তার হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন।
টেঁটা তার হাতের একপাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এসময় আফসানার হাতও টেঁটাবিদ্ধ হয়। এলাকাবাসী তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হোসনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত আফসানা আক্তার লিজা বলেন, ‘আমার নানার মৃত্যুর পর বাড়িটি দখল করার জন্য এর আগেও মজিবুর রহমান কয়েকবার নানিকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :