গাইবান্ধায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ নিয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীরা জোর জবরদস্তি করছেন। নেসকোর কর্মচারীরা গোপনে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে সকলের অলক্ষ্যে প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিচ্ছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধাবাসী। নেসকোর এমন একগুঁয়েমির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটি, গাইবান্ধার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসার সভাপতিত্বে ও সাম্যবাদী আন্দোলনের মনজুর আলম মিঠুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন বাবু, প্রবীণ রাজনীতিক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক টুকু, গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মমতাজুর রহমান বাবু, ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম রাজা, শ্রমিক নেতা রেজাউন্নবী রাজু, সংস্কৃতি সংগঠক দেবাশীষ দাশ দেবু, গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান নাদিম, জাতীয় পার্টির আনোয়ারুল ইসলাম লেবু, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তা মল্লিক, রাজনীতিক রেবতী বর্মণ, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ, বাসদ মার্কসবাদীর নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির আসাদুজ্জামান শাহীন, মাসুদার রহমান, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সোমা ইসলাম, সাম্যবাদী আন্দোলনের সবুজ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রিপেইড মিটারের প্রতিবার ১ হাজার টাকা রিচার্জে গ্রাহকের এজেন্ট কমিশন বাবদ ২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রতিমাসে গ্রাহকের মিটার ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকরা নিজের টাকায় ইতিপূর্বে এনালগ ও ডিজিটাল মিটার ক্রয় করলেও তার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। প্রতি ১ হাজার টাকার বিনিময়ে কত ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তাও অসপষ্ট। প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স ফুরিয়ে গেলে ২শ টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের জন্য ৫০ টাকা হারে গ্রাহককে সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রিপেইড মিটার কোনো কারণে লক হয়ে গেলে লক খোলার জন্য ৬শ টাকা জমা দিতে হবে।
বক্তারা অবিলম্বে গাইবান্ধায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :