Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

পাইকগাছায় তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন


দৈনিক পরিবার | ইমদাদুল হক জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম পাইকগাছায় তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

খুলনার পাইকগাছায় হিমশীতল বাতাস ও তীব্র ঠান্ডা, ঘণ কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র ঠান্ডা নিবারণে গ্রামগঞ্জে বয়স্ক নারী পুরুষ খড় জ¦ালিয়ে শীত নিবারন করছে। পৌষ মাসে দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। কয়েক দিন ধরে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশই বাড়ছে, আবার কমছে। আর এমন অবস্থায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ যেন কাহিল হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে শীত ও ঠান্ডায় ঘণকুয়াশার কারনে ভোরে  মাঠে কাজ করা  দিনমজুর ব্যাক্তিরা কাজে বাহির হতে হিমশিম খাচ্ছে। শীত বস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে রাত দিন পার করছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। এক সপ্তাহ ধরে  সুর্য্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়েছে। কয়েকদিন পরে আজ দেখা মিললো সূর্যের, কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষজন। তবে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছে তারা। তবে এ উপজেলায় কুয়াশার দাপট বেশি থাকার কারণে গ্রামগঞ্জে রাস্তা দিয়ে তেমন গাড়ী চলাচল নাই বল্লেচলে। হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন। 
চাঁদখালী ইউপির উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতেও দেখা গেছে বৃদ্ধা, বয়স্ক নারী, বাচ্ছা অনেকের। এ দিকে ক্রমশই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাই অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। উপজেলার কপিলমুনি, বাকা বাজার, চাঁদখালী বাজার, গড়ইখালী বাজার, জিরো পয়েন্টসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কম দামের গরম কাপড়ের দোকান বসছে। এসব দোকানে দেখা গেছে ছোট-বড় সব বয়সীর গরম কাপড় বিক্রি করতে।সরজমিনে দেখা গেছে, কম দামের গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। ভোর থেকেই দেখা গেছে এসব দোকানে ক্রেতাদের ভীড়।
চা বিক্রেতা মোস্তফা সানা বলেন, বাজারের বড় দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে গরম কাপড় কিনতে পারি না। শীত থেকে রক্ষা পেতে তাই এই ফুটপাতের কম দামের দোকানে এসেছি।
ফুটপাত দোকানি রাজ্জাক বলেন, আমাদের দোকানে সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ আসেন। যাদের নামি-দামি দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে নতুন গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই তারাই আসেন আমাদের দোকানে।
দেখা গেছে, এসব দোকানেও ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।নাম না বলা শর্তে অনেকেই জানান, এ ধরনের পোশাক মার্কেটে ৫-৬’শ টাকার নিচে পাওয়া যাবে না। গরিব মানুষের জন্য ফুটপাতই ভরসা।এদিকে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বেচাকেনা বেশি হয়। এবং প্রতিদিন এখানে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। তাদের কাছে এটি ‘গরিবের হাট’ হিসেবে পরিচিত।আবার নাম না বলা শর্তে অনেক অসহায় শীতার্ত মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চেয়ে আছেন সমাজের বিত্তবানদের দিকে একটি গরম কাপড়ের আশায়। 
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকরা জানান, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যাই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।

Side banner