বগুড়ার সোনাতলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে অফিস। একপর্যায়ে বাঁধার মুখে অফিসের স্থানান্তরের জন্য গাড়িতে উঠানো মালামাল গুলো আবার নামিয়ে নেন জোনাল অফিস কতৃপক্ষ।
অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ১লা নভেম্বর ২০২০ সালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চুক্তির ভিত্তিতে এখানে জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে তার আগ পর্যন্ত সাব-জোনাল অফিস হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হয় রেলগেট সংলগ্ন। ফলে বর্তমান অফিসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসের ৩১শে ডিসেম্বর। এরফলে অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নতুন অফিস হিসেবে শহরের শেষ প্রান্তে খানপাড়া সংলগ্ন জনৈক মফিজুল ইসলামের সাথে নতুন চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন।
এদিকে অফিসের মালামাল স্থানান্তর বিষয়টি মুহূর্তে জানাজানি হলে উৎসুক জনতা এতে বাঁধা প্রদান করেন। ধীরে ধীরে জনসাধারণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনতাদের শান্ত করেন। এরপর চলে কর্তৃপক্ষের সাথে অফিস স্থানান্তর না করার আলাপ আলোচনা।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান অফিসটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। শহরে সবাই এসে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বিদ্যুৎ অফিসের কাজ গুলিও সারতে পারছেন। তবে অফিসটি শহরের বাহিরে চলে গেলে লক্ষাধিক মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন শহর থেকে বর্তমান স্থানান্তর কৃত জায়গায় যাতায়াতে অতিরিক্ত ২০টাকা গুনতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বলার পর তার আশ্¦াস পেয়ে চলে যান সকলে।
এ বিষয়ে সোনাতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহা বলেন, বর্তমান ভাড়া বাসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষ এসে মফিজুল ইসলাম এর সাথে অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের ওয়াহেদ নোবেল গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসটি এলাকার জনসাধারণের সুবিধা মতো জায়গায় ছিলো তবে অত্র অফিসটি শহরের বাহিরে গেলে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এ এলাকার মানুষদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খাঁন (নিপু), সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাকুল ইসলাম রাজ্জাক, সেলিম রেজা বাবলা, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জরিফুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, তরুন প্রজন্ম দল উপজেলা কমিটির সভাপতি আবির হোসেন (মিলন) সহ স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অত্র অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাগর দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইসি) ইদ্রিস আলী সহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :