নিখোঁজ হওয়ার ৪২ ঘণ্টা পর রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট মন্দির সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে ভেসে উঠেছে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ। তারা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার সদরঘাট নালাপাড়ার শাওন দত্ত (১৬) এবং প্রিয়ন্ত দাশ। শাওন রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। প্রিয়ন্ত দাশ শাওনের খালাতো ভাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ৯ নম্বর শিলছড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার এবং ওই এলাকার স্থানীয় কৃষক এনামুল হক বাচ্চু।
ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজ পর্যটকের পরিবারের সদস্যরা কর্ণফুলী নদীতে মরদেহ ভেসে উঠে বলে সংবাদ দিলে আমি সাথে সাথে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মরদেহ ২টি কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় কৃষক এনামুল হক বাচ্চু জানান, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে গোসল করতে গিয়ে যেখানে দুই পর্যটক নিখোঁজ হয়, ঠিক সেই জায়গাতেই মরদেহ দুটি ভেসে ওঠে।
কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হতে খবর জানার সাথে সাথে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের লিডার কাজী নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল কর্ণফুলী নদী থেকে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়নের শ্রী শ্রী মাতা সীতা দেবী মন্দির সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে ওই দুই পর্যটক নিখোঁজ হয়।
গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের সীতার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজের পর পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এবং কাপ্তাই নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল ওই দুই পর্যটকের সন্ধানে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :