টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার উদীচীর শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার আকস্মিক ও অকাল প্রয়াণ আমাদের জন্য এক গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদা হাস্যোজ্জ্বল, বিনোদন প্রিয় ও সৃজনশীল এই মানুষটি কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সংগীত চর্চায় মগ্ন থাকতেন। বিশেষ করে তবলায় তাঁর দক্ষতা ছিল অসাধারণ, যা সবার মন জয় করত।
নাজমুল হুদা ভাইয়ের সঙ্গে আমার সর্বশেষ দেখা তাঁর মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে। তিনি আমার ফার্মেসিতে এসে বসেছিলেন এবং সেদিন সকালের বাজার সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই দিনটি আজও স্পষ্ট মনে পড়ে। আল্লাহতায়ালা তাঁর পবিত্র আত্মাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্থান দিন। আমিন।
নাজমুল হুদা ভাইয়ের বাবা মরহুম মজিদ ডাক্তার ছিলেন আমার বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমার বাবা মরহুম দেলোয়ার হোসেন তরফদার মাস্টার সাহেব এবং মজিদ ডাক্তার সাহেব চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন ব্রাক্ষণ শাসন বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতেন। সেই আড্ডার দৃশ্য আজও যেন আয়নার মতো ভেসে ওঠে।
ছয় মাস আগে নাজমুল হুদা ভাই আমার জন্য দুটি নোটবুক ডায়েরি পাঠিয়েছিলেন। সাহিত্য চর্চার প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং আমাকে উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টি আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। তিনি সবসময় আমার লেখালেখির খোঁজ নিতেন এবং দিকনির্দেশনা দিতেন। তাঁর মতো নম্র, ভদ্র, এবং সৃজনশীল মানুষ সচরাচর দেখা যায় না।
তাঁর এই অকাল প্রয়াণ আমাদের সবার জন্য গভীর শোকের। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই। মহান আল্লাহ তাঁর রূহকে শান্তি দান করুন।
আপনার মতামত লিখুন :