ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সোহেইল আহমেদকে অবৈধভাবে নদীতে মাছ শিকারের দৃশ্য ছবিসহ ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ায় উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রফিজ মিয়ার ২ ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহাজাহান মিয়া ও তার ছোট ভাই জমির মিয়া হত্যার হুমকি দেয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় উল্লেখিত দুজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে সাংবাদিক সোহেইল আহমেদ।
থানার এজাহার কপির তথ্য ও বাদী পক্ষ জানায়, যুবলীগ নেতা শাহাজাহান ও তার ছোট ভাই জমির দীর্ঘদিন ধরে চরশিবপুর মৌজায় অবৈধভাবে নদীর নৌপথ দখল ও কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থা নষ্ট করে বাঁশ দিয়ে পুরো নদী দখল করে মাছ শিকার করে আসছিলো।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় এনিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দেয় ওই সাংবাদিক। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহান ও তার দলবল সোহেইলকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে সে তার বাড়ি না যেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসে পুলিশে অভিযোগ করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান মুঠোফোনে বলেন, নদী কারো বাপ দাদার না। আমি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরছি। এটা আমার মাছের ঘের। সোহেইলকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে, বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিরুদ্দিন মোল্লা, সা. সম্পাদক শামীম শিবলী সাংবাদিক সোহেইল আহমেদকে হত্যার হুমকিতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা ইসলাম জানান, নদী নৌপথ ও সেচ কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এমন মাছের ঘের দিয়ে মাছ শিকার অবৈধ। আমি ট্রেনিং এর জন্য বাঞ্ছারামপুরের বাইরে আছি। অফিসে এসে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
আপনার মতামত লিখুন :