গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি হানাদার মুক্ত ঐতিহাসিক দিবস ৪ ডিসেম্বর। ১১নং সেক্টরের সহকারী কোম্পানি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদকের নেতৃত্বে ৪ ডিসেম্বর ভোররাতে মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম ফুলছড়ি থানায় (পুলিশ স্টেশনে) উপর্যুপরি ১০টি গ্রেনেড হামলা চালান। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাকসেনারা ক্যাম্প ছেড়ে গোবিন্দী ওয়াপদা বাঁধের আড়ালে অবস্থান নেয়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ঊর্ধ্বশ্বাসে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার দিকে দৌড়ে পালাতে থাকে। গ্রামবাসীও পাকসেনাদের ধাওয়া করে।
এ সময় মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া পাকসেনাদের একটি দল ওয়াপদা বাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সম্মুখযুদ্ধে ২২ পাকসেনা নিহত এবং শহীদ হন ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরই মধ্যে দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা।
শাহাদতবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী এবং আবদুল সোবহান।
পরদিন ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ সাঘাটা থানার সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা স্কুল মাঠের পার্শ্বে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে এ ৫ বীর শহীদের সম্মানার্থে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। তাদের সম্মানে কবরের পাশেই নির্মিত করা হয় স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
আপনার মতামত লিখুন :