কার্তিক মাস শেষ হয়ে হেমন্তের মাঝখানে শীতের আমেজ পড়ছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকায়। অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই শীত যেন জেঁকে বসেছে। শীতের পাশাপাশি সব খানেই পড়ছে হালকা কুয়াশা। আর শীত শুরুতেই সলঙ্গা থানার বিভিন্ন হাটবাজার ও ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাতের বাজার থেকে শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে।
শীতে সর্দি, কাশি, ঠান্ডাসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন সলঙ্গাবাসী। তাই কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সলঙ্গা বাজার জনতা ব্যাংকের সামনে দেখা যায় ক্রেতাদের ভীড়। শুধু তাই নয়, বাজারের মোহাম্মদ আলী মার্কেট, তালুকদার মার্কেট, বরাদ আলী সুপার মার্কেট, ভুষালহাটা, মাংশহাটার ডোপঘর গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা। ভুষাল হাটা হতে অগ্রণী ব্যাংক পর্যন্ত দু'পাশে বিক্রেতারা বসেছেন গরম কাপড়ের পসড়া সাজিয়ে।
সিয়াম গার্মেন্টস্ মালিক হাফিজ বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়াও এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। নামী দামী কম্বল, চাদর, শীতবস্ত্র ছাড়াও কাজিপুরের জুট কাপড়ের কম্বলও বিক্রি করছি। তবে সারা বছর এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলেও তিনি জানান। ব্যবসায়ী জহুরুল ও শাহ আলম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে শীত আসতেই ক্রেতারা আগে ভাগে শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে।
ক্রেতা জেসমিন নাহার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। দামী শীতের পোষাক কেনার মত সামর্থ্য নেই। তাই শীত পড়ার আগেই কিছু শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে এসেছি।
সরেজমিনে সলঙ্গার মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের ও হাতের মোজা, মাপলার, সুয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি আর জুট কাপড়ের কম্বল।
দোকানীরা এ বছর দাম একটু বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :