কুষ্টিয়ার খোকসায় হেলালপুর গ্রামে মাইকেল এম রহমান ওরফে মতিন গত ২৭ নভেম্বর আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকায় সময় ব্রেন স্ট্রোক করে কুষ্টিয়া সদর হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাইকেল ওরফে মতিনের কাছে টাকা পাওনাদাররা মৃত মতিনের বাড়ির সামনে এসে একে একে জড়ো হতে থাকে। এ সময় মতনের পরিবার মৃতদেহ দাফনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল।
এ সময় পাওনাদাররা তার মৃতদেহ নিজ বাড়ি থেকে বের হতে বাধা প্রদান করে। পরিবারের সদস্যদের সাথে টাকা পাওনাদারদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে মতিনের দুই স্ত্রী সন্তান সহ জোরপূর্বক তার নিজ বাড়ি থেকে মৃত মতিনের মৃতদেহ বের করে কমলাপুর কেন্দ্রীয় চার্জে মাইকেল ওরফে মতিনের দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।
পাওনাদারের মধ্যে কুমরাখালীর জয়নাবাদ গ্রামের মনিরউদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, মৃত মতিন আমার কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি এনজিও থেকে এক কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেবার কথা বলে। ১৪ লক্ষ টাকার মধ্যে আমি এক লাখ ৪০ হাজার টাকা বুঝে পেয়েছি। বাকি টাকা আমাকে দেবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে খোকসা থানায় একটি অভিযোগ করা আছে আমার।
আরেকজন ভুক্তভোগী বিথী খাতুন। তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে সে একটি গরুর প্রজেক্ট করিয়ে দেবে বলে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদেশ যাবার কথা বলে আমার কাছ থেকে নয় লক্ষ টাকা নেয়।
জাহিদ হোসেন বলেন, আমার কাছ থেকে গরুর প্রজেক্টের কথা বলে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে।
মৃত মাইকেল এম রহমান ওরফে মতিন এর স্ত্রী সনিকা সিসিম বলেন, আমার স্বামী যে বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা দেনা রয়েছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :