মাগুরার শ্রীপুরে আপন দুই সহোদর খান আবুল কাশেম ও লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি ও এ পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চেয়ারম্যান (জামুকা) বরাবর এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মো. লিয়াকত আলী ও তাঁর আপন ছোট ভাই খান আবুল কাশেম মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন। তাঁরা ওই গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিন খানের ছেলে। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সন্তানদের চাকরি দিয়েছেন। যার ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারগুলো প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ধরণের মিথ্যা বাদীর মাধ্যমে তাঁরা শুধু রাষ্ট্রের সম্পদ অপব্যবহার করেছেন তা নয়, এ পরিচয় বহন করে গ্রামে এবং অন্যত্র প্রভাব বিস্তার করছেন। যার ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। খান আবুল কাশেম ও মো. লিয়াকত আলীর ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় এবং এর মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক মূল্যবোধ ও চেতনা পূনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য সঠিক তদন্তের ও দাবি জানিয়েছেন তারা।
লিখিত অভিযোগের বাহিরে ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এলাকাবাসী আরো জানান, উপজেলার নোহাটা গ্রামের ভূট্টো ইউনুস, আমতৈল গ্রামের সদর আলী, ঝর্না বেগম, কালু খান, মালেক মোল্যা, আবুল কাশেম মোল্যাসহ অনেকের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জমি বিক্রি করে, বায়না নামার টাকা নেওয়ার পরেও জমি রেজিস্ট্রি না করে দেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। কেউ মুখ খুললেই লিয়াকত আলীর ছেলে পলাশ খান প্রভাব খাটিয়ে ঝামেলায় ফেলানোর চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে খান আবুল কাশেম ও মো. লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগের জন্য তাদের আমতৈল গ্রামের বাড়িতে গেলে তাদের ভাই হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চেয়ারম্যান (জামুকা) মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনের টিএনটি ফোন নাম্বারে ফোন করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :