কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রবাসী আলিফ-উজ্জামান রনির জমি দখলের প্রতিবাদে তার স্ত্রী তানিয়া আখতার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রবাসি আলিফ-উজ্জামান রনি গংঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত মুনছুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টার সময় তার নিজ বসত বাড়ি উপজেলার গংঙ্গারামপুর গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া আখতার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, প্রতিবেশী ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস ও নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস স্বামীর দখলকৃত লিজ নেওয়া ও দালিলিক জমি দখল করে নিচ্ছেন। সে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে দখলদারদের দৌরাত্মক থামাতে পারছেনা বলে ও দাবি করেন তিনি।
এ সময় তিনি আর বলেন,মৃত সামসুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস (৬০), মোঃ নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫) ও ময়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন (৪০), মোঃ সুমন (৩৫) ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নয়ন (২৮) মোঃ নিয়ন (২৮) এর সহিত আমার চর হোগলবাড়িয়া মৌজায় এসএ১০৬৫ দাগে এবং আরএস ৪৭০ খতিয়ানে ১৫২৩ দাগে ২৫ একর জমাজমি লইয়া বিরো চলছে। এই জমিতে আমার বাড়ি ঘর রহিয়াছে। উক্ত ব্যক্তিরা আমাদের জমি জবর দখল করিবে মর্মে হুমকি ধামকি দেওয়ায় বিজ্ঞ হাইকোর্টে রিড পিটিশন মামলা নং-৫১৩০/২৪ দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত গত ইং-২৭ নভেম্বর তারিখ হইতে স্টেটার্সকো আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া গড ১৭ তারিখ সকাল অনুমার ৮ টার সময় আমার নালিশী জমিতে থাকা ১০০ খানা বাঁশ কাটিয়া নেয় অনুমান ৩০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। সেই সময় আমি বাধা দিলে আমাকে মারমুখী আচারন সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দেয়। ইতিপূর্বে আমার জমিতে থাকা বাঁশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কাটিয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে তারা। ইহা ছাড়াও আমার শ্বশুর মুনসুর আলী বিশ্বাসের নামীয় চর হোগলবাড়িয়া মৌজায় ৩৭১ খতিয়ানে ১৫২২ দাগে ০৮ শতক জমিতে থাকা বাঁশ বাগান রহিয়াছে। উক্ত বাঁশ বাগান হইতে তারা বিভিন্ন সময় প্রায় ৫০,০০০/- টাকার বাঁশ কাটিয়া ক্ষতি সাধন করিয়াছে। আমার বোন মোস্তারি খানম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে।সরকারি জমি তারা দাবি করেন তাদের দালিলিক সম্পদ ১৯৭৪ সালে যে জমি ক তফসিলের জমি হয়ে গেছে সেই জমির দলিল হয় কি করে এবং এই জমিতো আমাদের দখলে ৬০ বছর। সকল ঘটনার তদন্ত করে বিচার চাই আমি।
এ সময় এলাকাবাসী দাবি করেন এই জমিটা সরকারি জমি রনির পরিবারের দখল আছে প্রায় ৬০ বছর তাহলে সরকারি জমি ময়েন উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজন কিনলো কি করে।
এদিকে ময়েন উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনের দাবি এই জমি তাদের কোনা ও দালিলিক সম্পদ এটা সঠিক তদন্ত চাই তারাও।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :