নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বসুনিয়া হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে ইজারাদারের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাগল ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৯০/১০০ জনকে আসামি করে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাগল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-মামুন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৫ই আগস্টের পর একটি ছাগল বিক্রির রশিদের মূল্য ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী। ঘটনার দিন সোমবার (২৫শে নভেম্বর) ছাগল প্রতি ৩০ টাকা বেশি করে টোল আদায় করা হলে প্রতিবাদ করেন ছাগল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করে ইজারাদারের লোকজন। এরপর ছাগল ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও জানা যায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে হাছান আলীর পকেট থেকে ৭২ হাজার টাকা, আকতারুল ইসলামের ৭৬ হাজার টাকা, জয়নাল আবেদীনের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, দুলাল হোসেনের ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, এরশাদুল হোসেনের ৮০ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীর হোসেনের ৭০ হাজার ৭০০ টাকা, সুরুজ্জামানের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, রমজান আলীর দেড় লাখ টাকা, মোখলেছ আলীর ১১ হাজার ৩০০ টাকা, এরশাদ হোসেনের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও রাশেদুল ইসলামের ৮২ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ১৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন ইজারাদারের লোকজন। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হলেও গুরুতর আহত হাছান ও মোখলেছকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
অভিযোগে উল্লিখিত আসামিরা হলেন- ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ধনীপাড়া এলাকার আছাদ আলীর পুত্র মামুন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার আকবর আলীর পুত্র আব্দুল মালেক, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ার মোফাখখারুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এবিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ নাজমুল আলম বিপিএএ জানান, ব্যবসায়ীরা তার কাছে অভিযোগ করেছেন। ইজারাদারকে ডাকা হয়েছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :