যশোরের মনিরামপুরে গাছিরা খেজুর গাছ তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে। শীতের আগমনী বার্তায় রস সংগ্রহের উদ্দেশে খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামের গাছিরা। সড়কের পাশে এমনকি পতিত জমিতে জন্ম নেওয়া খেজুর গাছ তুলতে ব্যস্ত গাছিরা।
মৌসুমী ও পেশাদার গাছিরা এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুর গাছ প্রস্তুত করে যাচ্ছেন। আর মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই গুড়ের স্বাদ পাবে মানুষ। দিন দিন খেজুর গাছ কমে যাওয়া এবং একই সাথে নতুন গাছি না পাওয়ায় এ পেশা বেশ সংকটের মুখে। বেশ পরিশ্রমের কাজ বলে অনেকে আবার ভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছে। যার ফলে ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’ চিরন্তন এই বাণী এখন হারিয়ে যেতে বসে।
দিনে তাপমাত্রা এখনও বেশি হলেও ভোরে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশা আর মৃদু শীত। কুয়াশা আর মৃদু শীতই জানান দিচ্ছে অচিরেই জেকে বসবে ঠান্ডা আর দেখা মিলবে রস গুড় ও পাটালির।
গাছিরা জানান, প্রথমে ধারালো দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করছেন তারা। এর ৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপন করা হবে। এর সপ্তাহখানেক পর শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের কাজ। গাছ তৈরির এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের।
গাছিরা আরো জানিয়েছেন, খেজুর গাছ অন্যান্য গাছের মত বপন করা বা সার কীটনাশক দিতে হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মে পড়ে থাকা খেজুরের আঠি (বিচি) থেকে চারা জন্মায়। তবে সম্প্রতি খেজুর গুড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে নতুন করে খেজুর গাছ রোপণের আগ্রহ বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :