পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্তর্বতী সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কলাপাতায় লবণ বিক্রি করে নজর কেড়েছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ী বাজারে ব্যবসায়ী শমসের আলী। তার এমন অভিনব উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সবাই।
পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিন ব্যবহারে নিষিদ্ধের ঘোষণা করাছেন। সরকার নিষিদ্ধ করার পরেও ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে পলিথিনের করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় পলিথিন নিষিদ্ধ করার পরেও বিভিন্ন হাট বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করেই যাচ্ছে।
তবে এখানেই ব্যতিক্রম শসসের। গত এক সপ্তাহ ধরে এই প্রথম কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো ১ কেজির লবণের প্যাকেট তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন তিনি।
উপজেলার খড়িবাড়ী বাজার গিয়ে দেখা গেছে, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট তৈরি করে দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। অনেকেই তার এই কলাপাতা মোড়ানো লবণের প্যাকেট ও দোকানের ছবি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম পোষ্ট করেছেন।
বর্তমান দেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিন ব্যবহারে নিষিদ্ধের ঘোষণা করেছেন। সরকার নিষিদ্ধ করার পরেও ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে পলিথিনের করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় পলিথিন নিষিদ্ধ করার পরেও বিভিন্ন হাট বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করেই যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই প্রথম কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ী কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো ১ কেজির লবণের প্যাকেট তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
উপজেলার খরিবাড়ী বাজার গিয়ে দেখা গেছে, সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজে থেকেই কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট করে লবণ বিক্রি করতে দেখা দেখা যায়। তার এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই তার এই কলাপাতা মোড়ানো লবণের প্যাকেট ও দোকানের ছবি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম পোষ্ট করেছেন।
লবণ ব্যবসায়ীর সমসের আলী (৬০)। তিনি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি খড়িবাড়ী বাজার প্রায় ১৫ বছর খোলা মার্কেটে লবণের দোকান করে করে আসছেন।
লবণ ব্যবসায়ী সমসের আলী জানান, পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশনের সংবাদে দেখে জানতে পারি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে দেন সরকার। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজে উদ্যোগে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট করে বিক্রি করতে শুরু করি।
কলা পাতায় লবণের প্যাটেক করায় বিক্রি কমছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিক্রি কমেনি। তবে আমার এমন উদ্যোগ দেখে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। আসলেই পলিথিন খুবই ক্ষতিকর পণ্য। তারপরও এখনো অনেকেই ব্যবহার করছেন। কর্তৃপক্ষ তৎপর হলে পলিথিন ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি।
খড়িবাড়ী বাজারে ক্রেতা রহমান শেখ ও বিপুল চন্দ্র রায় জানান, আসলেই কলার পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট গুলো অনেক পর দেখে ভালো লাগলো। এমন ভাবে মোড়ানো হয়েছে ব্যাগে রাখলেও পড়বে না।
খড়িবাড়ী এলাকার সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া শেখ ও বিএসসি শিক্ষক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে খড়িবাড়ী বাজারে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে পণ্য বিক্রির উদাহরণ হিসেবে কলার পাতায় লবণের প্যাকেট করে বিক্রি করছেন। তার অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলার পাতায় লবণ বিক্রি করছেন। এই পদ্ধতিতে ধরে রাখতে সবাই এগিয়ে আসলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমবে।
এই দুই শিক্ষক আরও জানান, কলার পাতা সহজলভ্য, প্রাকৃতিকভাবে এটি পচনশীল এবং পরিবেশবান্ধব, যা পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :