পূর্বের দিনের ধারাবাহিকতা গুলো এখনো টিকে আছে গ্রামের মানুষের নিকট। তারা লাউ কুমড়ার জাংলাতে কিংবা ফল বৃক্ষের ডালে ফেলে দেয়া ঝাঁটা, চুন দিয়ে গোল চিহ্ন বা বোতল কেঁটে অথবা ভাঙ্গা জুতা ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখে। তাদের বিশ্বাস অশুভ দৃষ্টি থেকে গাছের ফল লাউ কুমড়া গুলোকে হেফাজত করতে তারা এ ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে।
যদিও এ ব্যবস্থাকে বর্তমান প্রযুক্তিময় বিশ্বায়নে কুসংস্কার বলে আখ্যা দিচ্ছেন বা ধর্মীয় যাজকগণ এটিকে শিরক বলছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও চর্চাগুলো আসলেই অসাধারণ। তারা বংশ পরম্পরায় তাদের আদি স্মৃতিকে ধরে রাখে, কেননা তারা মনে করে এ নিয়মে যথেষ্ঠ ভালো ও ফলদায়ক। যে কারণে গ্রামের মানুষের যুক্তি খন্ডনের মত যোগ্যতা এ সময়ের মানুষদের অনেকের মাঝে নেই। যেমন একজন বললেন, মানুষের অশুভ দৃষ্টির ধাক্কা ফেরানোর জন্য তারা ভাঙ্গা সলা, হাছুন, গোল গোল চোখ দিয়েও ফেরানো যাচ্ছে না, তদ্রুপ মানুষের মনের ধাক্কা ফেরানোর মত কি কোন কিছু আছে দুনিয়াতে বলতে পারেন।
এক দিকে বলা যায় একজন সফল কৃষক, একজন কৃষি বিজ্ঞানী, আর গ্রামের মানুষগুলো মায়াবী নান্দনিক প্রকৃতির মাঝে থেকে প্রকৃতির নীবিড় প্রেমে তারা মোহিত। প্রকৃতিকে তারা খুবই আপন মনে করে একজন বললেন, মানুষ মানুষকে ঠকাতে পারে কিন্তু প্রকৃতি তা পারেনা। সে শুধু দিয়েই তৃপ্তি পায়, প্রকৃতি হলো বড় দাতা। প্রকৃতি এখনও আগেকার মতই স্থির। সে দিচ্ছে বলেই আমরা
এখনও টিকে আছি জীবিত আছি।
আপনার মতামত লিখুন :