শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ তোশক তৈরির কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও বাংলা আশ্বিন মাস আসলেই দোকানের তালা খুলে বসেন। লেপ-তোশকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোশক তৈরী করতে। তেমনি আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকানে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরীতে।
স্থানীয় সুত্রে জানায় যায়, আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রাম, কড়ইসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক এ পেশায় রয়েছে।
উপজেলা সদরের লালচান বেডিং স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলাম জানায়, ৭ বছর আগে থেকে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত হন। লেপ-তোশকের এই দোকানে তার সহোদর দুই ভাইও এ পেশায় রয়েছে। তারা দিনে ৫টি লেপ-তোশক সেলাই করতে পারেন। সাড়ে ৪ হাত সাড়ে ৫ হাত মাপের একটি লেপ তৈরী করতে কাপড়, গামেন্টের্সের তুলা মজুরিসহ ১ হাজার ২ শত টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচে খরিদ্দারকে সরবরাহ করা হয়। এতে শ্রমিকের মজুরি ছাড়া দেড় শত টাকা লাভ থাকে। শীত মৌসুমে দিনে ৫/৬ টি লেপ-তোশক সরবরাহ করা যায়। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট মাসে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন।
বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোশক তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরীতে।
আপনার মতামত লিখুন :