রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের মোহনপুরে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি প্রতিরোধে মোহনপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মানববন্ধনে থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ একাত্মতা ঘোষণা করে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কেশরহাট বাজারে ও ১১ টার দিকে মোহনপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মহাসড়কে পর্যায়ক্রমে পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব এর সহ সভাপতি আনসার তালুকদার স্বাধীন এবং মোহনপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্যোগে ভয়েজ অব এশিয়া পত্রিকার রিপোর্টার রায়হানুল হক রিফাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন, ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন, বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঘাসিগ্রাম ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, জাহানাবাদ ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, কেশরহাট পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, পৌর বিএনপি'র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওসমান আলী, কৃষক দলের নেতা হান্নান, মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান, উপজেলা ট্রাফিক জোন ইনচার্জ টিআই রবিউল ইসলামসহ সার্জেন্টগণ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নিতাই চন্দ্র ঘোষসহ ফায়ার কর্মীরা, মোহনপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ রুবেল সরকার, দৈনিক সোনালী সংবাদের রফিকুল আলম সোহেল, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার মোহনপুর প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, দৈনিক সানশাইন পত্রিকার প্রতিনিধি রাসেল সরকার, নতুন প্রভাত পত্রিকার মোহনপুর প্রতিনিধি মোঃ মুত্তাকিন আলম সোহেল, ফয়সাল, ফিরোজ, শাহিনুর, আজাদ, আপেল মাহমুদ রাঙ্গা, সাদেকুল ইসলাম স্বপন, শরিফুল ইসলাম, "নিরাপদ সড়ক চাই" সংগঠনের কর্মী লিটন মাহমুদসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি টু, থ্রি নাকি ফোর লেন তা বোঝার কোন উপায় নাই। এ রাস্তায় চলাচলের জন্য তেমন মার্কিং করা নাই। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে তার জন্য এই মহাসড়কটি কোনভাবেই উপযোগী নয়। মহাসড়কটি প্রশস্তকরণ করা হলেও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামলাতে সড়কটি বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। তাছাড়া এই মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনে তুলনায় খুবই কম। মহাসড়কের ওপরে আইন ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চার চারটি হাট বসানো হয়। বিশেষ করে বিদিরপুরে সবজির হাট, উপজেলা সংলগ্ন একদিলতলায় বাঁশের হাট, কেশরহাটে বাঁশ এবং ধানের হাটসহ সম্পূর্ণ ফুটপাত বিভিন্ন ফল ব্যবসায়িকের মাধ্যমে দখল হয়ে গেছে। কামারপাড়ায় আম এবং সবজিসহ বিভিন্ন ফলের হাট বসানো হয়। এ রাস্তার সইপাড়া মোড়ের দু'ধারে পান বরজের খড়ের ব্যবসা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে খড় রাখা হয়। উপরের এই বাজার গুলোর সমস্ত মালামালের লোড-আনলোড হয় রাস্তার উপরে। যার জন্য রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনতিবিলম্বে এ হাট গুলো রাস্তার উপর থেকে অপসারণ করা জরুরী। এ ছাড়াও এই মহাসড়কের দু'ধারে বাঁশ, কাঠ, বালি ও সিমেন্ট, রডসহ নানারকম আবর্জনা রাখা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সরকারি দপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। আজকের এই মানববন্ধনের মাধ্যমে মোহনপুরের জনসাধারণ সচেতন হবে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
আপনার মতামত লিখুন :