Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

গাইবান্ধায় বাড়ছে আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ


দৈনিক পরিবার | শাহিন নুরী গাইবান্ধা অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম গাইবান্ধায় বাড়ছে আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ

গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় দেখা মিলছে আগাম জাতের আমন ধান। কৃষকরা বাড়তি লাভ হিসেবে চাষাবাদ করেছেন স্বল্পমেয়াদি এই আগাম জাতের আমন ধান। এই ধানের কাঁচা খড়গুলো  গো খাদ্য হিসেবে বিক্রি করে খরচ ওঠাবে কৃষকরা। অপরদিকে এর মাধ্যমে কম খরচেই গো খাদ্যের চাহিদা মিটাতে পারবেন খামারিরা।
দেখা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলা খোলাহাটির কুমার পাড়ায় সদর উপজেলার কামারজানির উচু চর এলাকায় ও সাঘাটা উপজেলার কচুয়ার ও জুমারবাড়ি এলাকায়  মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় সড়কের পাশে আগাম ধানের পাকা ধান ক্ষেত চোখে পড়ে। 
কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা বললে কৃষকরা জানান, আগাম আমন জাতের ধানের আবাদের ফলে মানুষের যেমন খাদ্যের চাহিদার যোগান হবে তেমনি আগাম কাঁচা ঘর বিক্রি করে ফসলের খরচ তোলা যাবে। এতে করে আমরা কৃষকরাও মাঠের খড় বিক্রি করে আমাদের চাষের খরচ তুলতে পারবো। 
বাজারে ধানের দামের সঙ্গে খড়ের উচ্চমূল্য পেয়ে বাড়তি আয়ের মুখ দেখতে স্বপ্ন গুনছেন ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকরা। পাশাপাশি আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষেরও খরচ কিছুটা এগিয়ে নিতে পারবেন তারা।
এদিকে আগাম জাতের এই ধান কাটা-মাড়াই শেষে সেসব কাচা খড় সংগ্রহ করে কাঁচা খড়ের রমরমা ব্যবসাও করবেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। চাহিদা থাকায় মাঠে মাঠে ধানের কাঁচা খড় কেনার জন্য মৌসুমি খড় ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ধান কাটা-মাড়াই শেষে তারা খড় কিনে এনে বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভবান হবেন।
গাইবান্ধা সদরের খোলাহাটি ইউনিয়নের কৃষক বিপ্লব মিয়া বলেন, আগাম ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে তার দামও ভালো পাওয়া যায়। ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে আগাম জাতের আমন ধান লাগিয়েছিলাম। ধান কাটা ও মাড়াই শেষে কাচা খড়গুলো বিক্রি করবো। এতে করে আমরা লাভবান হব। এসব জমিতে এখন আগাম আলু রোপণ করবো।

Side banner