Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

বাঘারপাড়ার রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি


দৈনিক পরিবার | সাঈদ ইবনে হানিফ অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম বাঘারপাড়ার রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি

যশোরের বাঘারপাড়া অভয়নগরে ও বসুন্দিয়া অঞ্চলের সাথে অবাদ যোগাযোগের একমাত্র অন্যতম মাধ্যম হলো চাড়াভিটা ঘুনি রাস্তা। প্রায় ৭ কিলোমিটার এই রাস্তাটি পাকা করা হয় বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে। রাস্তাটি পাকাকরণের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে খুলনা মাগুরা, খুলনা নড়াইলে মালামাল ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। সম্প্রতি সময়ে বসুন্দিয়ার  ভৈরব নদের উপরের সেতুটি ঝুকি পূর্ণ হওয়ার কারণে সেটি ভেঙ্গে ফেলায়, নড়াইল খুলনার যাত্রী বাহী পরিবহন গুলো খুনি চাড়াভিটা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। যে কারণে বাস ট্রাক ও পণ্যবাহি বিভিন্ন যানবাহনের চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। শুরু রাস্তায় বিপরীত দিক থেকে কোন যানবাহন আসলেই দুই পাশে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এভাবেই চলছে প্রতিনিয়ত। যে কারণে যাত্রী সাধারণের ও সহজে যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন চালক সহ এলাকাবাসী। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের খুনি বাজার থেকে খুলনা যশোর সড়ক পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শুরু এই অংশটিতে প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহন আটকে থাকে। ফলে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। শুধু যানজট ইং নয় শুরু রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত একবছরে এই রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৮ জন, আর আহত হয়েছে ৩০ জনের বেশি মানুষ। 
সূত্র জানায়, যশোর-নড়াইল সড়কের চাড়াভিটা বাজার থেকে যশোর-খুলনা সড়কের ঘুনির রাস্তার দুরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার। সড়কটির সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার (ঘোষনগর বাজার পর্যন্ত) বাঘারপাড়া প্রকৌশল অধিদপ্তর দেখাশোনা করে। বাকী দেড় কিলোমিটার ঘুনির বাজার থেকে ঘুনির রাস্তা অংশের দেখভাল করে যশোর সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কটির সদর উপজেলার এই দেড় কিলোমিটার অংশই ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় বেশি । 
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৬’শ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের এ সড়কে একটি মাল বোঝাই ট্রাক ও একটি পিক-আপ দুই দিকে মুখ করে দাড়িয়ে আছে। দুটি যানবাহনের পিছনে বেশ কয়েকটি ব্যাটারীচালিত ভ্যান, ইজিবাইক ও মাছ বোঝাই নছি
সিঙ্গিয়া আদর্শ কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ভৈরব নদের উপর বসুন্দিয়া সেতু ঝুকিপূর্ণ হওয়ার পর থেকে চাপ বেড়েছে এ রাস্তায়। শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে ঢাকা, নড়াইল ও মাগুরায় পন্য পরিবহনের কাজ করে। নওয়াপাড়া থেকে থেকে সার বা কয়লা বোঝাই ১০ চাকার ট্রাকগুলো এই রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া নড়াইল এক্সপ্রেস কালনা থেকে খুলনায় যায়। দুটো ট্রাক বা বাস একে অপরকে সাইড দিতে গেলে কার্পেটিং অংশের নিচে নামতে হয়। এতে সড়কের দুই পাশে আড়াই ফুটের খাদ সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে থাকে। যার ফলে হেঁটে চলা মানুষের দাড়ানোর জায়গাও থাকে না। তিনি আরও জানালেন, রাস্তায় দুই পাশে যদি দুই ফুট করে বাড়ানো যায় তবে সকলের চলাচলের জন্য ভালোহয়। অথবা বালু খোয়ার মিশ্রণ দিয়েও দুই পাশ চলাচলের উপযোগী করে তোলা যায়।  
খবর নিয়ে জানা গেছে, সড়কটি সর্বশেষ ২০২২ সালে (গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের) আওতায়  মেরামত করা হয়। সম্প্রতি বসুন্দিয়ার ভৈরব নদের উপর সেতুটি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় সেটি ভেঙ্গে ফেলায় বিকল্প এই সড়কের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে।

Side banner