Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
শহরে বিক্ষোভ

৩৩ কেবিতে অতিষ্ঠ পাথরঘাটার ৫২ হাজার গ্রাহক


দৈনিক পরিবার | আরিফ তৌহীদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম ৩৩ কেবিতে অতিষ্ঠ পাথরঘাটার ৫২ হাজার গ্রাহক

বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজে অতিষ্ঠ বরগুনার পাথরঘাটার পল্লী বিদ্যুতের ৫২ হাজার গ্রাহক। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযোগ করলে বারবার ৩৩ কেবির সমস্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কতৃপক্ষ। নিয়মিত লোডশেডিং অন্যদিকে বিদ্যুৎ থাকলেও লো-ভোল্টেজ। এ দুইয়ের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
গ্রাহকরা জানান, আকাশ কালো হলেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকাকালীন অবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎ এর নাম্বারে ফোন দিলে তা কখনো রিসিভ হয় না। যদিও রিসিভ হয় তাহলে বলে ৩৩ কেভি সমস্যা। এই তেত্রিশ কেবি যেন পাথরঘাটা উপকূলবাসীর গলায় কাটা।
পাথরঘাটা পৌরশহরের মেহেদী হাসান শিকদার জানান, প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে দিনে যে কতবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে তার অন্ত নেই। অপরদিকে লো-ভোল্টেজের কারণে এখানকার বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়তই নষ্ট হচ্ছে। গিয়াস উদ্দিন জানান, ৩৩ কেভি সমস্যার নাম করে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকে। অফিসে ফোন করলেই বলে ৩৩ কেভি তে সমস্যা।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মহিউদ্দিন এসমে জানান পাথরঘাটার পৌর শহরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তীব্র গরমে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অসুস্থ হয়ে পরেছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা না হলে পল্লী বিদ্যুৎ বয়কট করার ঘোষণা দেন গ্রাহকরা।
পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন গড়ে ২-৩ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েন তাঁরা। প্রতিবার লোডশেডিংয়ে তিন-চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পৌর এলাকার ব্যাবসায়ী সৈয়দ সৌরভ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টি দেখা দিলেই বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আরম্ভ হয়। বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ থাকবে না—এটা কোন নিয়ম? আর পল্লী বিদ্যুতে ফোন দিলেই বলে ৩৩ কেবিতে সমস্যা হয়েছে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। গত সপ্তাহে একাধারে চারদিন বিদ্যুৎ না থাকায় আমার ২৫ হাজার টাকার আইসক্রিম নষ্ট হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের তথ্যানুযায়ী পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাথরঘাটা জোনাল অফিসের আওতায় একটি সাবস্টেশনের ৬টি ফিডারে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কিছুটা কম মেগাওয়াট পাওয়া গেলেও লো ভোল্টেজ থাকার কথা স্বীকার করেছেন কতৃপক্ষ।
পাথরঘাটা জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন সময়ে ৩৩ কেবির লাইন ফল্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখতে হয়। এছাড়াও পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডের কারণে লো ভোল্টেজ দেখা যায়। পাশাপাশি যানবাহন ও জনবলে ঘাটতি থাকার পরও গ্রাহকদের সবোর্চ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করি। তাছাড়া সমস্যা গুলো সমাধানে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

Side banner