Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষিত নারী


দৈনিক পরিবার | শাহিন নুরী সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষিত নারী

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের যাপিত সমাজে নারীদের নিত্যজীবনে ছিল বঞ্চনার আখ্যান। নিপীড়িত সমাজ পরিবর্তনে কেউ কেউ অল্পবিস্তর লিখেছেন। প্রথাগত সমাজ ভেঙে নারীদের আলোকিত উঠানে নিয়ে আসার কাজ করেছেন খুব কম সংখ্যক চিন্তক। সেই কম সংখ্যকদের মধ্যে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অগ্রগামী। কেবল দৈশিক প্রেক্ষাপটে কিংবা স্থানিকতায় নয়, তিনি কালিক যাত্রায় স্থানিক কলেবর অতিক্রম করে বিশ্বপরিমণ্ডলে স্বকীয়তায় আসীন।
বেগম রোকেয়া বলেছিলেন একটি গাড়ি যদি দুইটি চাকা থাকে আর সেখানে যদি একটি চাকা বিকল হয় তাহলে গাড়িটি যেমন যাওয়া সম্ভব না তেমনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পুরুষ ও মহিলা যখন একযোগে কাজ না করবে তখন এ পৃথিবীতে ওই বিকল গাড়ির মতো চলবে সভ্যতা বিকল হয়ে পড়ে থাকবে সমাজ। সভ্যতার এই আধুনিক যুগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে পথ দেখিয়েছেন সেই পথেই হাঁটছেন উত্তরবঙ্গের উচ্চশিক্ষিত নারীরা। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন সরকার।
১৭ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সদর উপজেলায় ৮০ জন নারীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করায় তাদের স্বপ্নপূরণে এক ধাপ এগিয়ে গেছে এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থি। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কয়েকজন  প্রশিক্ষণার্থি  কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা অনেকেই বিবাহিত আবার অনেকেই আমরা অবিবাহিত নারী।  আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই যে আমরা কখনো ল্যাপটপ চালাতে পারব। আমরা যারা বিবাহিত তাদের সংসার জীবনে রান্নাবান্না স্বামী সন্তান সামলানো আমরা মূল পেশা মনে করতাম। আমাদেরও যে স্বাধীনতা আছে আমরাও যে সমাজে কিছু করতে পারি ভুলেই যেতে  বসেছিলাম। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে নারীদের উদ্যোগী করার জন্য পাশাপাশি স্বাবলম্বী করে ওঠার জন্য হার পাওয়ার প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট এ অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয় সে বিজ্ঞাপনে আগ্যহী হয়ে আমরা অনলাইনে আবেদন করি। আবেদনের কিছুদিন পর আমাদের  লিখিত পরীক্ষা  ও ভাইবা পরীক্ষা নেয়া হয়। লিখিত ভাইবা পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনা শুরু করে তথ্য ও আই সি টি মন্ত্রণালয়। আমরা অনেকেই কম্পিউটার জানতাম কিন্তু চর্চা না থাকায় ও হাতে ল্যাপটপ কম্পিউটার না থাকায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম যে আমরা কম্পিউটার জানি। আমরা কল্পনা করতে পারিনি যে আমাদের কাছেও একটি ল্যাপটপ থাকবে যে ল্যাপটপের মধ্য দিয়ে আমরা শুধু একটি পরিবারের মধ্যে বন্দি থাকবো না। ল্যাপটপের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীটাকে দেখতে পারবো। এমন স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমাদের জীবনটাকে আর চার দেয়ালের ভিতরে বন্দী মনে হচ্ছে না। আর নিজেকে শুধু ঘরের ঘরণী ভাবছি না আমরা পুরুষের পাশাপাশি অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারব। তবে আমরা নারীরা দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে আধুনিক সভ্যতায় উত্তরবঙ্গের নারীরা পিছিয়ে ছিলাম আমরা নিজেকে কখনো যে একটা গাড়ির চাকা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বলে গিয়েছিল এটা কল্পনায় করিনি সরকার আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ আমাদের ছিল স্বপ্ন। আমাদের হাতে এই ল্যাপটপ দিয়েই আমরা দেশে আত্মসমাজিক তথা পরিবারের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে চাই।সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই সরকারকে যে বাংলাদেশ সরকার আইসিটি অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন পুরনে সহযোগিতা করেছে।

Side banner