Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

রংপুর বিভাগে কাস্টমস-এ বখরা তোলা বন্ধ হয়নি


দৈনিক পরিবার | মো. আফফান হোসাইন আজমীর সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম রংপুর বিভাগে কাস্টমস-এ বখরা তোলা বন্ধ হয়নি

রংপুর ও দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে (প্রতি প্যাকেট ৮ হতে ৯ টাকা) কম মূল্যে বাজারজাত ও বিক্রয় করে, সরকারের শত-শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বিড়ি শিল্প মালিকদের অনেকে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বড় মালিকদের কেউ-কেউ চাহিদার তুলনায় কম ব্যান্ডরোল উঠিয়ে কিছু বিড়িতে আসল ব্যান্ডরোল ব্যবহার আর কিছু বিড়িতে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে, ভালো মন্দ ব্যান্ডরোলের মিশেলে উৎপাদিত বিড়ি বাজারজাত করছেন। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নামে বিড়ি মালিকদের অনেকেই লাইসেন্স ও ভ্যাট নিবন্ধন ঠিক রাখতে দুই পাতা হতে তিন পাতা ব্যান্ডরোল তুলে ৯০ ভাগ জাল ব্যান্ডরোলে উৎপাদিত বিড়ি ৮ হতে ৯ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে, বিক্রির উদ্দেশ্যে সরবরাহ ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছেন। আর এ অঘটন ঘটাতে গোপনে সহায়তা করছেন কাস্টমসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা।
জানা যায়, ২৫ শলাকার প্রতি প্যাকেট বিড়ির সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্য ১৮ টাকা। অথচ রংপুরের গঙ্গাচড়া, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাসুদ, রাঙ্গা, রাকিব ও স্টার নামসহ আরও অন্য নামের বিড়ি বিক্রয় হচ্ছে, প্রতি প্যাকেট ৮ হতে ৯ টাকা। বিড়ি মালিকদের একজন নেতা বলেছেন, বিড়ির গায়ে সরকার কর্তৃক যে ব্যান্ডরোল নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মূল্যমান ভ্যাট ট্যাক্সসহ ৯ টাকা ১০ পয়সা।
বিড়ি শিল্প ছাড়াও ইটভাটা ও অন্যান্য বড়-মাঝারি এবং ছোট ব্যবসা যাদের জন্য ফিক্সড ভ্যাট ব্যবস্থা রয়েছে (রেস্টুরেন্ট, ছোট দোকান ইত্যাদি) তাদের ভ্যাট চালান জমা দিয়ে, চালানের কপি অফিসে দিতে গেলে প্রত্যেককেই দিতে হয় অফিস খরচের নামে উপরি টাকা। আর বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন জমা দেয়ার সময় সার্কেল, ডিভিশন ও কমিশনার অফিসে দিতে হয় পৃথকভাবে নির্ধারিত মাসোহারা। এ জন্য কমিশনার অফিসে কৃষ্ণ নামের একজন সিপাই নির্ধারিত ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। তারা আরও বলেন, একইভাবে রংপুর ডিভিশন অফিসে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদধারী একজন কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর নাহিদা ফরিদীর বক্তব্য জানতে তার অফিসে গেলে, তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে পারবেন না। এবং সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

Side banner