Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী


দৈনিক পরিবার | কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নে অতি বর্ষনে শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম তাঁত ঘরে  হাঁটু সমান পানি হওয়ায় পণ্য  উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার নন্দলালপুর গ্রামের কারিগর পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ি আশপাশ ও রাস্তায় হাঁটু সমান পানি।
ভুক্তভোগীরা জানান, আগে অতি বৃষ্টি বা ভারি বর্ষণে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতোনা। বর্তমানে বিভিন্ন কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করায় পানি বের হতে পারেনা যেকারণে তারা পানি বন্দী হয়ে পরেছেন।
হাবাসপুরে ফারুক ও ইউপি সদস্য শাহীনের  লোকজন  পানি বের হবার সরকারি পোল বন্ধ করে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো জানান কারিগর পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে তাঁত রয়েছে। তাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তাঁতশিল্প। কিন্তু ৩/৪ দিন তাদের প্রতিটি বাড়িতে পানি ঢুকে তাঁতঘরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। পানির কারণে ইতিমধ্যে তারা তাঁতঘর থেকে কাপড় সহ তাঁত অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন এবং রান্নাঘর ও বসত  ঘরেও পানি প্রবেশ করায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি নির্ঘুম রাত পার করছেন তারা। দ্রুতগতিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান।
নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান, নন্দলালপুর গ্রামের কারিগর পাড়ার শতাধিক পরিবার অতি বৃষ্টির কারণে পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। প্রাথমিকভাবে পানি বের করতে গেলে শত বিঘা জমির ফসল ডুবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জন দুর্ভোগ নিরসনের পাশাপাশি ফসলি জমি রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত জানান, ইতিমধ্যে এলাকাটি পরিদর্শন করেছি এবং প্রাথমিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য চেষ্টা চলছে।

Side banner