পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় গত তিন দিনের ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা রাস্তা-ঘাট, সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে কলা চাষি ও টমেটো চাষিদের। গত দু-দিনে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির কারণে আলোর মুখ দেখা যায়নি, ঘর থেকে বের হতে পারেনি লোকজন। তবে বিশেষ প্রয়োজনে কিছু শ্রমজীবী লোকদের বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতকালের আগাম সব্জি খেতে পানি বেঁধে রয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার নিম্নঅঞ্চলের ৩ নং দেউলবাড়িদোবড়া ও ৯ নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ভাসমান বেডের আগাম সবজি ও কলা চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের বাবুরহাট ও নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকায় মৎস্য ঘেরে সবজি চাষিদের, শিম, লাউ, মিষ্টি, কুমড়া, বেগুন, পেঁপে কলাসহ বিভিন্ন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এভাবে জলাবদ্ধতা কয়েকদিন থাকলে মাঠের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার অশঙ্কা কৃষকদের।
বাবুরহাট গ্রামের কৃষক রাব্বি জানান, টানা বৃষ্টিতে বরবটি, টমেটো করল্লা ক্ষেত পুরোটাই তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় প্রায় সব ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।
উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের কৃষক আইয়ুব অলী জানান, কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কলা চাষ করেছি। বৃষ্টিতে প্রায় তিন একর জমির কলা গাছ হেলে পড়ে গিয়েছে। এখন কিভাবে এ লোনের টাকা শোধ দেব ভেবে পাচ্ছিনা।
উপজেলা কৃষি কমকর্তা ইসরাতুন্নেছা এশা বলেন, টানা বৃষ্টিতে আগাম টমেটো চাষিরা শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি আমন ধানের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে বিশেষ করে উঁচু এলাকা মাটিভাঙ্গা, সেখমাটিয়া ইউনিয়নের জন্য। অন্যান্য ইউনিয়নের আমন ধানের অবস্থা ভালো আছে।
আপনার মতামত লিখুন :