বিশ্বনাথ পৌরশহরের বাজারগুলো ভ্রাম্যমান ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। কে-বা কার ইশারায় এঁরা চলে নির্দিষ্ট দপ্তর বা বাজার কমিটির কাছে এর কোন সদউত্তোর নেই। এদের পরিচালনায় থাকা একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ও অভিযোগ তারা অস্বীকার করেন। ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দৈনিক চাঁদার বিনিময়ে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা ফুটপাত, বাজারের গলি, বাসিয়া ব্রীজ, পুরান ফুটওভার ব্রীজ সহ নানা স্থানে তারা সকল প্রকার ব্যবসায়ীক মাল পত্র নিয়ে দেদারছে করছে বেচাকেনা। চাঁদা কারা নেয় এমন তথ্য জানতে চাইলে, জানা যায় বাজার এজারাদার কর্তৃক নিয়োগকৃত ব্যাক্তিরা চাঁদা নেন। এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে পথচারীদের, স্থায়ী ব্যবসায়ী ও যানবাহন চলাচলের ।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম জানান ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কারণে যানজটের সৃষ্টি সহ সকল প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে বিশ্বনাথবাসীর।
প্রতিদিন এঁরা যখন-যেখানে একটু ফাঁকা স্থান পায় সেখানেই বসে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণ, বাজার কমিটি ও প্রশাসনের একাধিক এ্যাকশন অভিযান পরিচালনা এবং ফুটপাতে ব্যবসা করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার আদেশ নির্দেশ দিলে ও কে শুনে কার কথা।
বাসিয়া সেতুর দুই পার্শ্বে গড়ে তোলা হয়েছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। কাপড়-চোপড়, ফল-ফলাদি, পেয়াজ রসুন, মাছ-মাংস থেকে সব কিছুই অলি-গলিতে ক্রয়ের সুবিধা দিচ্ছেন তারা।
ভাসমান ব্যবসায়ীদের জন্য বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজার ও পুরান বাজারের ব্যবসায়ীরা নাজেহাল। অলি গলি ও ফুটপাতে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থায়ী দোকানীদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে এমন অভিযোগ দোকান মালিকদের।
বিশ্বনাধ পুরান বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আহমদ মিয়া জানান, অবৈধ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ব্যবাসায়ীরা পথে বসতে শুরু করেছে। আমরা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সমিতির উদ্যোগে বার বার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তাদের বাধা প্রদান করি, কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর বিকেলে ছাত্র ছাত্রীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজার, পুরানবাজারে একটি উচ্ছ্বেদ অভিযান পরিচালনা করে বিশ্বনাথ পৌর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর পর ও দেখা যায় তারা আবার দখল করেছে।
ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুর্নবাসন ও স্থায়ীভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিশ্বনাথ শহরে অনেক জায়গা রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী দয়াল উদ্দিন তালুকদার। সরককারী খালি জায়গায় তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে মলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এই সমস্যা উত্তরণে ভাসমান ব্যবসায়ীদের সাথে বসা জরুরী এবং জনস্বার্থে তাদের প্রতিরোধ করা ও প্রয়োজন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা কমিশনার (ভুমি) আলা উদ্দিন কাদের জানিয়েছেন, ভ্রাম্যমান ও অবৈধ ভাবে ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :