খাগড়াছড়ির জেলার সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলার পানছড়ি ৩ নং সদর ইউপির ৩ ওয়ার্ডের খেটে খাওয়া এক কৃষকের বাড়ি পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা। অভাবের সংসারে যেন কাল হয়ে দাড়ালো রহিমের পরিবারের।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দূর্গম শনটিলা এলাকায় ঘটে এই ঘটনা।
জানা যায়, রাতের আধারে নিজ বাড়িতে পায়ের আওয়াজ শুনতে পায় মাতা ছালমা বেগম। সাথে সাথে ঘর থেকে বাহিরে বের হয়ে দেখত পায় ৬-৭ জন লোক তার ছেলে রহিমের থাকার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। ছালমা বেগম দুর্বৃত্তদের নিষেধ করতে করতেই পুরো ঘরেই আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা। তবে এই ঘটনায় জড়িতদের চিনলেও ভয় ও হুমকির কবলে থাকায় নাম প্রকাশ করতে পারছেন না রহিমের পরিবার।
রহিম জানায়,আমি কাজ শেষ করে রাতে বাসায় এসে বিশ্রাম করার সময় এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ছড়াচ্ছে আমরা নাকি নিজের ঘরে নিজে আগুন লাগিয়েছি। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা কেন নিজের ঘরে নিজে আগুন লাগিয়ে দিবো। তারা আরো ছড়াচ্ছে এটা নাকি গোয়াল ঘর পুড়েছে। অথচ আমাদের দুটো গোয়ালঘর আছে। এ বিষয়ে আমরা পানছড়ি সাব জোনে বিচার দিয়েছি। দুর্বৃত্তদের নামও প্রকাশ করতে পারছি না। তারা আমাদের মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে।
রহিমের মা ছালমা বেগম জানায়,আমার স্বামী কোনো দল করতো না। কে বা কাহারা তার নাম আওয়ামীলীগে দিয়ে দেয় আমরা জানি না। হাসিনা পলায়নের পর জানতে পারে আমার স্বামীর নাম আওয়ামীলীগে আছে। দুর্বৃত্তরা আমার স্বামী ও বড় ছেলেকে হুমকি দেয়। হুমকি দেয়ার পর তারা বাড়ি থেকে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার এতোদিন পর দুর্বৃত্তরা আমার ঘরে আগুন দিয়ে দেয়। আমি তাদের বারবার ডেকে বলছিলাম, আমারে মেরে ফেল,আমার ছেলের ঘরে আগুন দিস না! তারপরেও তারা শুনে নি।আমি তাদের বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
আপনার মতামত লিখুন :