নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়েনের রাকসা গ্রামে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি লুটপাট সহ স্ত্রীকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে স্বামী বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শুক্রবার দুপুরে ২ টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন।
তিনি বলেন, গত ০৭/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ টার সময় আমি রাকসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান করা কালে একই ইউনিয়নের ১। মোঃ আশাদুল ইসলাম (৩৪) ২। মোঃ স্বপন আলী (৩৬) ৩। মোঃ সবুজ হোসেন (২৭) ৪। মোঃ রাকিব হোসেন (৩৫) ৫। মোঃ তোহা হোসেন (২৮) ৬। মোঃ মাসুম হোসেন (২৮) আমার নিকট আসিয়া আমার নিকট হইতে চাঁদা হিসাবে ৫০,০০০/- টাকা দাবী করে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হইলে একই তারিখ সন্ধ্যায় আসিবে বলিয়া চলে যায়। হঠাৎ রাত অনুমান ১২.৩০ টার সময় বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে পিস্তল, রামদা ও বাঁশের লাঠি নিয়া আমার বসতবাড়ীতে আসিয়া আমার নিকট হইতে ১,০০,০০০/- টাকা চাঁদা হিসাবে দাবী করে। আমি বিবাদীদের উক্ত টাকা প্রদানে অস্বীকার করিলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ বেগম (২৬) আগাইয়া আসিয়া তাকেও গালিগালাজ করিতে থাকে। নিষেধ করিলে তাহাদের নিকট থাকা বাশের লাঠি দিয়া এলোপাথারীভাবে মারপিট করিয়া আমার সমস্ত শরীরে ছিলাফোলা ও কালোশিরা জখম করে। তখন আমর স্ত্রী বিবাদীদের বাধা দিতে গেলে বিবাদীগণ আমার স্ত্রীর পরণে থাকা সালোয়ার টানা-হেচড়া করিয়া আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করে। মারপিট করা কালে ১নং বিবাদী আমার ঘরে থাকা সুজুকি জিকছার ১৫৫ সিসি মোটর সাইকেল, ঘরের আলমারীর ড্রয়েরে রাখা নগদ ১৬,০০০/- টাকা একটি রুপার ব্যাচলেট স্ত্রীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন জোর পূর্বক নিয়া নেয়। তখন আমার ও আমার স্ত্রীর চিৎকারে আসে পাশের পড়শীরা আসতে থাকলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও এই ঘটনার কথা কেউ যেনো জানতে না পারে বলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে চলিয়া যায়। আমি পরদিন থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনার দশ দিন পর আমাকে লালপুর থানার এসআই আব্দুল আলীম আমার বাইক উদ্ধার করলেও আজ আঠারো দিন অতিবাহিত হবার পরও কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এখন পর্যন্ত মামলা এজাহারে করেনি। বিষয়টি সাধারণ জনগণের কাছে এত বড় একটা ঘটনার পরও অভিযুক্তরা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ জানান, ঠিক আছে আমি কথা বলছি মামলা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :