কক্সবাজারের পর্যটন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ক্ষত মুছে সীমিত পরিসরে খুলছে দোকানপাট, গতি ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। গতকাল রবিবার বিকালে সৈকতের বেলাভূমিতে গিয়ে দেখা যায়, কিছু দর্শনার্থী সমুদ্রপাড়ে অবস্থান করে ঢেউ উপভোগ করছেন।
এদের অধিকাংশই স্থানীয়, জেলা ও চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের অবসাদ কাটাতে সৈকত এলাকায় এসেছেন তারা। শনিবারও একই পরিমাণ লোকজন এখানে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীদের।
গতকাল জেলার ৬ থানা ভবন পরিদর্শন করেন রামুর সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
কক্সবাজার সদর থানা কম্পাউন্ড এলাকায় জিওসি গণমাধ্যমকে বলেন, সব থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের পুরোপুরি সেবা সচল করতে কিছু সময় লাগবে। এর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে সব প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সবার সহযোগিতায় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
উন্মুক্ত রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আগত পর্যটকরা অতীতের মতো নিরাপদে সমুদ্র ও প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন।কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের বেলাভূমিতে সমুদ্র দর্শনার্থী আসা শুরু করেছে। এদের মধ্যে কিছু পর্যটকও রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :