বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফজলুল করিম (২৫)। গত সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন ফজলুল করিম। বিকাল ৪ টার দিকে ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা গণভবনের দিকে রওনা হলে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করেন। পুলিশের গুলিতে অনেক ছাত্র-জনতা গুরুতর আহত হয়। এসময় ফজলুল করিমের বুকে গুলি লাগে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই বিকেলে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফজলুল করিম জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের টাংগারী পাড়া গ্রামের শাহা আলমের ছেলে।
ফজলুল করিমের মৃত্যুর খবর বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের টাংগারী পাড়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে, তার নিজ বাড়ি ও এলাকায় শোকের মাতম শুরু হয়।
ফজলুল করিমের স্ত্রী মোছা. লতা বেগম জানান গত ৫ আগস্ট সোমবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার স্বামী ফজলুল করিম। গুলি তার পেটের এক পাশ দিয়ে ছিদ্র হয়ে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আমি আমার স্বামীর বিচার চাই। স্বামীকে হারিয়ে দুই বছরের এক ছেলে সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হত দরিদ্র পরিবারটি। একমাত্র উপার্জনের মানুষটি হারিয়ে পরিবারের শোকের মাতাল চলছে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফজলুল করিম টঙ্গী বোর্ডবাজার এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন।
আপনার মতামত লিখুন :