Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

উলিপুরে বসতবাড়ী ভাংচুর মালামাল লুটপাট


দৈনিক পরিবার | মো. রফিকুল ইসলাম জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম উলিপুরে বসতবাড়ী ভাংচুর মালামাল লুটপাট

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের কামদেব এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের বসতবাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। সেই সাথে ওই পরিবারের ৩জনকে ভাড়াটে লোক দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের কামদেব এলাকায় মৃত দবির উদ্দিনের পুত্র সফিকুল ইসলাম (৫৮) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ চলে আসলেও আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে সফিকুল ইসলাম ডিক্রী প্রাপ্ত জমিতে বসতবাড়ী করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছিলেন।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সম্পূর্ণ গাঁয়ের জোরে এক দল ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনীর সহায়তায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিবাদী পক্ষের লোকজন গত শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে সফিকুল ইসলামের বসতবাড়ীতে হামলা চালায়।
এসময় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন মৃত দবির উদ্দিনের পুত্র সফিকুল ইসলাম (৫৮), সফিকুল ইসলামের পুত্র আনিছুর রহমান (২৮) ও সফিকুলের স্ত্রী মোছা. আকিমা বেগম (৪৮)।
আসামীরা অসহায় পরিবারের লোকজনকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করার পর আসামীরা বসতবাড়ীর ঘরের ভিতরে থাকা স্টিলের ট্রাংকে রাখা নগদ টাকাও লুট করে নেয়। একইসাথে ঘরে থাকা খাবারের জন্য ৩ ড্রাম চাউল লুট করে। ঘরের আসবাবপত্র, হাড়িপাতিল, শোকেস, আলনা, খাট, চেয়ার, টেবিল সহ ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে। চরম অমানবিক বর্বর হামলায় পরিবারটি অসহায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও প্রতিবেশী লোকজন সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এই বর্বর হামলায় নেতৃত্বদানকারী আসামীরা হলেন- বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের কামদেব এলাকার প্রতিবেশী মৃত জয়বর আলীর পুত্র এনামুল হক (৩১), ইসমাইল হোসেন (২৭), মৃত জযবর আলীর স্ত্রী মোছাঃ জাহিনুর বেওয়া (৪৬), মৃত বাতাল শেখ এর পুত্র হযরত আলী (৬১), ফুলবাবুর পুত্র বিপ্লব মিয়া (২২), হযরত আলীর পুত্র লাদেন মিয়া (২০), হযরত আলীর স্ত্রী রওশনা বেগম (৫০), আব্দুর রহমানের পুত্র একরামুল হক (৩০) সহ প্রায় অজ্ঞাত ৫০ জন আসামী।
এই সন্ত্রাসী হামলা চলাকালীন সময়ে বাদীপক্ষের লোকজন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে আত্মচিৎকার দেয়া সহ পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা শেষ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। বাদী সফিকুল ইসলাম উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দিলেও তা এখনও রেকর্ড করা হয়নি বিধায় বাদী সফিকুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আদালতে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগকারী সফিকুল ইসলাম জানায়, বিশেষ জরুরী অবস্থায় আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার পরিবারের উপর হামলা, বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রশাসনের নিকট আমি ন্যায় বিচার কামনা করছি।

Side banner