Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

ফুলবাড়ীর দৌলতপুর ইউনিয়নে গরু চুরির হিড়িক


দৈনিক পরিবার | মো. জাহাঙ্গীর আলম জুলাই ১৭, ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম ফুলবাড়ীর দৌলতপুর ইউনিয়নে গরু চুরির হিড়িক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়নে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। কয়েকটি পাড়াতে গত দুই মাসে ৭টি বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে ১৩টি গরু। তাছাড়া ইউনিয়নের মধ্যে কয়েকটি বাড়িতে চোর প্রবেশ করে কিন্তু বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় চোরেরা চুরি করার সুযোগ না পেয়ে পালিয়ে যায়। গত মে মাস হতে জুলাই মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ইউনিয়নের ৩ নং ৪ নং ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৭ টি বাড়িতে চোর প্রবেশ করে মোট ১৩টি গরু বের করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে গত ১০ জুলাই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হড়হড়িয়া গ্রামের জনৈক বাবু মিয়ার বাড়িতে গভির রাতে চোর প্রবেশ করে দুইটি গাভওয়ালা গাভি ও একটি বড়  বকনা গরু বের করে নিয়ে যায় কিন্তু তেজসম্পর্ন বকনা গরুটি চোরদের হাত থেকে ছুটে বড়িতে ফিরে আসে আর বাঁকি গাভি দুটোকে চোরেরা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এভাবেই ইউনিয়নে পরতে পরতে হচ্ছে গরু চুরি।
গত মে মাস থেকে এই এলাকায় গরুচোরের একটি সঙ্গবদ্ধ দল সক্রিয় হয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নে গরু চুরি করছে। প্রথমে এই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পলিপাড়ার (নাপিত পাড়া) মৃত রজনী কান্ত রায়ের ছেলে শ্রী অমলচন্দ্র রায়ের বাড়ি হতে ২টি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর পুর্বপলিপাড়া গ্রামের শ্রী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি হতে ২টি গাভী নিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর আবার পলিপাড়া (নাপিত পাড়া)র শ্রী বিমল চন্দ্র রায়ের বাড়ি হতে ২টি গরু নিয়ে যায়।
আবারও সপ্তাহ পার না হইতেই পলিপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের বাড়িহতে ২টি গরু এরপর দু একদিন পর হড়হড়িয়া পাড়ার মজির হোসেনের বাড়ি হতে ১টি গরু, তার কয়েকদিন পর ৪নং ওয়ার্ডে কুশলপুর (তেলিপাড়া) গ্রামের মৃত দফিরউদ্দিনের ছেলে আলমের বাড়ি হতে ২টি গরু এবং সর্বশেষ জুলাই মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে ৯ নং ওয়ার্ডের হড়হড়িয়া পাড়া গ্রামের মোঃ ইউনুস আলীর ছেলে মোঃ বাবুর বাড়ি হতে ২টি গরু নিয়ে যায়। তাছাড়া কুশলপুর গ্রামের মোঃ কায়েশ চৌধুরীর বাড়ীতে প্রাচির টপকিয়ে প্রবেশ করে চার্জার ভ্যানের ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর একই বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার লাঠিদিয়ে বেড়ে ভেঙে দিয়ে সিধ কাটে কিন্তু বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায়  চোরেরা পালিয়ে যায়। এরপর দুইদিন পর সীধকাটা এই বাড়িতে রাত্রে একটা চিরকুট লিখে যাদের বাড়ি হতে গরু চুরি হয়েছে তারা সবায় খেটে খাওয়া গরিব ও অসহায় পরিবারের মানুষ। এই পরিবার গুলোর একমাত্র সম্বল ছিল তাদের গরুগুলো। সেই গরুগুলো চুরি হওয়ায় অসহায় পরিবারের মানুষগুলো এখন দিশেহারা।
এভাবে যদি চুরি সংগঠিত হয় বা হতেই থাকে তবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো একমাত্র সম্বল গরু হারিয়ে পথে বসবে অচিরেই। বিষয় টি  নিয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে এই এলাকার গরু চুরির বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, দৌলতপুর ইউনিয়নে গরু চুরির বিষয়ে আমাদের নিকট তথ্য আছে। আমরা দৌলতপুর এলাকাতে গোপনে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করেছি যাতেকরে আর যেন কোনো চুরি সংগঠিত নাহয় এবিষয়ে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এক ইউনিয়নে পর পর এতগুলো চুরি সংগঠিত হওয়ায় ঐ ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য শ্রী স্বপন কুমারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, এবিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদ থেকে আমরা কোনো পদক্ষেপ নেইনি তবে গ্রামপুলিশ দিয়ে গ্রামে গ্রামে রাতে বিশেষ পাহারা দেওয়া হচ্ছে।

Side banner