পুলিশের কাজে বাঁধা ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে খুলনার বাসা থেকে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা রহমান (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী ও দেবরসহ আরো ১৪ জনকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় খুলনার খালিশপুর থানার বাস্তহারা আবাসিক কলোনী থেকে তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার সময় খালিশপুর থানার ওসিসহ পুলিশের একটি টিম কৃষকলীগ নেত্রী হালিমা রহমানের বহুতল ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হালিমার পুরুষ ও নারী কর্মী সমর্থকরা পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। তারা ওসি সহ পুলিশ সদস্যদের লিফটের মধ্যে আটক করে রাখে। পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা এবং অশ্লীল আচরণ করে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করলে হালিমা রহমান, তার স্বামী ইভান কাজী ও দেবর মিনার কাজী এবং জাহিদুল ইসলামসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী পুরুষ পুলিশের উপর হামলা হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। তারই নেতৃত্বে শতাধিক মাদক কারবারিও সন্ত্রাসীরা খালিশপুরের বাস্তহারা সহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এদের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন হুমকির মুখে।
প্রায় দেড়ঘন্টা পুলিশকে আটক করে রেখে হয়রানি করে মাদক ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক হালিমা রহমান, এমন অভিযোগ পুলিশের।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ৯ দিকে বাস্তহারা কলোনীর ২ নং রোডে ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (২৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে জখম করে ওই এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। ওই আসামীদের মধ্যে কয়েজন মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, ধর্ষণকারীসহ বহু অভিযোগের অভিযুক্ত।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় আসামীরা হালিমা রহমানের বাসভবনে আত্মগোপন করে আছে। তারই ভিত্তিতে আসামীদের ধরতে গেলে হালিমা রহমান পুলিশ সদস্যদের কৌশলে লিফটে আটকে রাখে এবং তার লোকজন দিয়ে হামলা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে পুলিশের সাথে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী হালিমা রহমানসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আপনার মতামত লিখুন :