কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পরকীয়ার ঘটনায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে পরকিয়া প্রেমিকের বাড়ি ভাংচুর করেছেন নিহতের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বাটিকামারা জিজাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে পরকিয়া প্রেমিক নয়নের বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছেন।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসি জানান, প্রায় এক বছর যাবত একই এলাকার মন্ডল হোসেনের ছেলে নয়ন হোসেনের (২০) সাথে ভারতি রাণীর (৪৫) পরকিয়া ছিলো। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর সালিশী বৈঠক করলেও দুজন পূণরায় তাদের মধ্যে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে ভারতির ছোট ছেলে তপু দাস বাড়িতে ফিরে নয়ন ও তার মাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এসময় নয়নকে ধরার চেষ্টা করলে বসত ঘরের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যায় নয়ন। পরবর্তীতে ভারতিকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শারিরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই রাতেই ভারতি স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে নয়নের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা ভারতিকে নয়নের বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে বুধবার দুপুরে সকলের অগোচরে ভারতি ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে নয়নের বিচার দাবীতে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। তারা আরো জানান, একাধিকবার সালিসি বৈঠকে শুধু ভারতিকে শাসন করা হতো। কিন্তু নয়নকে শাসন না করার কারণে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিচার না পেয়ে ভারতির স্বজনরা বৃহস্পতিবার নয়নের বাড়ি ভাংচুর করেছেন বলে জানান তারা।
কুমারখালীর থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :