ঝালকাঠি শহরের বুক চিরে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরে বয়ে যাওয়া বাসন্ডা নদী। পশ্চিম ঝালকাঠির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পাড় অতুল মাঝির খেয়াঘাট থেকে বাসন্ডা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুইকিলোমিটার এলাকায় কয়েক শত পরিবারের চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। পৌরসভা থেকে আধা কিলোমিটারের মতো আরসিসি ঢালাই দিলে তাও ভেঙে বিলীন হচ্ছে বাসন্ডা নদীতে। বাকি দেড় কিলোমিটার নদী ভাঙনে অনেক আগেই নেমে গেছে। তাই এখন নদীর পাড়েই পায়ে হেটে ঐ পরিবারগুলোর চলাচলের একমাত্র ভরসা।
ঐ এলাকার শ্রমিক আ. জব্বার, রফিক মাঝি, লাইলী বেগম, জলিল মাঝিসহ অনেকে জানান, আমরা ঝালকাঠির বর্ধিত পৌর এলাকার নাগরিক হলেও আমাদের চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। বাসন্ডা নদীর ভাঙন না থামায় নদীর পাড় ভেঙেই চলছে। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে বাঁধ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে এভাবে কতদিন চলবো জানি না। নির্বাচন এলে সবাই প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও এই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ দেখা যায় না।
স্থানীয় বেলা রানী পাল, দুলাল কৃষ্ণ, দেবাশিসসহ আরো অনেকে জানান, এই এলাকায় কোনো রাস্তা না থাকায় রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মাটির আসবাবপত্র পোড়ানোর তাফালঘর একবার ভেতরে সরিয়ে এনেছি। নদী ভাঙনের কারণে আবার তাফাল সরিয়ে নিতে হবে। তারা জানান, বর্ষার সময় জোয়ারের আগেই এবং অতিবৃষ্টির কারণে এই এলাকা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। ঘর থেকে নামার কোনো উপায় নেই। নদীর পাড় পিচ্ছিল হওয়ায় হাঁটার কোনো উপায় থাকে না।
পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পশ্চিম ঝালকাঠির কেস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্প থেকে সরাসরি বাসন্ডা ব্রিজ পর্যন্ত নদীর পাড় হয়ে একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :