ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শীলার উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুর ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। কহিনুর বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে হামলার অভিযোগে সাজুর ছেলে সহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ব্যক্তিগত কাজ শেষে উপজেলা সদর থেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শিলা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ি এলাকার রাজ্জাক মেলেটারীর বাড়ী সামনে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
কোহিনূর বেগম শীলা জানান, প্রতিপক্ষ ফাতেমা বেগম সাজুর ছেলে সোহাগ ও সবুজ সহ ৮/১০ জনে মিলে আমার গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমাকে গুরুতর জখম করে। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, হামলার ঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কোহিনুর বেগম শিলা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোহিনুর বেগম শিলার স্বামী ও তজুমদ্দিন উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহাবুদ্দিন গাজী প্রতিপক্ষের বিচার দাবী করে বিকাল ৩টায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :