নরসিংদীর রায়পুরায় মসজিদে প্রতিবন্ধী শিশুকে চড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর বাদীপক্ষের মামলা পুলিশী গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালান আসামিপক্ষের লোকজন। এই সুযোগে বাদীপক্ষের লোকজন আসামি পক্ষের প্রায় ১২টি বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে আসামি পক্ষের লোকজন সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে রায়পুরা থানার একটি মামলা করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশী গ্রেপ্তার আতঙ্কে সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে ক্ষতি সাধন করে।
ভুক্তভোগী লিয়াকত আলী ও তার মেয়ে জুলেখা বলেন, লিয়াকত আলী, আসাদ মিয়া, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, বিল্লাল মিয়া, জামাল মিয়া, কামাল মিয়ার ১০-১২টি ঘরবাড়ি সহ ২টি মুরগীর ফার্মে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনার আমাদের প্রায় ২০ লাখেরও বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রায়পুরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হালিম বলেন, যেহেতু তাদের একজন খুন হয়েছে, একটু ভাঙচুর হতে পারে। তবে আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কাজ করছি। ভাঙচুরের অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল শিমুলতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জুমার নামাজের সময় মসজিদে প্রতিবন্ধী স্বাধীন (১২) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে চড় মারে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। চাঁন মিয়া মারধরের গুরুতর আহত করে। সন্ধ্যা ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁন মিয়া (৬৫) মৃত্যু হয়। চাঁন মিয়া ওই এলাকার রহম আলীর ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন ভুইয়ার ভাই।
আপনার মতামত লিখুন :