বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তফাজ্জল হোসেনের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ ও কোটি টাকা উদ্ধার খবরে রুপসী বাংলা পত্রিকা এবং সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা।
গত সোমবার (২১ এপ্রিল) দৈনিক রুপসী বাংলায় প্রকাশিত “ভবন না করেই মেয়রের পকেটে কোটি টাকা” ও মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) “দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার লোপাটকৃত ১ কোটি টাকা উদ্ধার” প্রতিবেদনের জন্য পাঠকপ্রিয় দৈনিক রুপসী বাংলা কর্তৃপক্ষ, সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ খানকে শুভেচ্ছা জানায় বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা।
মঙ্গলবার রুপসী বাংলায় ‘পৌর ভবন না করেই মেয়রের পকেটে কোটি টাকা’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশের পর পৌরসভার অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা জমা বাবদ ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন বাঞ্ছারামপুরের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাতক মেয়র তফাজ্জল হোসেন।
গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে বাঞ্ছারামপুরে আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা তফাজ্জল হোসেন তার কর্মচারী কারন মিয়ার মাধ্যমে ইউসিবি ব্যাংকে এ টাকা ফেরত দেন।
ঋণের নামে নাটক সাজিয়ে ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ ফেব্রুয়ারি তার আপন শ্যালক লিটনের এবং কর্মচারী কারনের সহায়তায় ৫০ লাখ করে ২ দফায় ১ কোটি টাকা বাঞ্ছারামপুর ইউসিবি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজে হাতিয়ে নেন।
শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, পৌর সচিব হাবিব উল্লাহ খান, সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো: নাসির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শামীম শিবলী সহ কমিটির সদস্যগণ।
পৌর প্রশাসক মো নজরুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক কঠিন, ঝুঁকি থাকে। তারপরও সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ খান পুরো দুর্নীতি রুপসী বাংলার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
অনুসন্ধানী রিপোর্টে এ টাকা ফেরত পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম মুঠোফোনে জানান, রুপসী বাংলার এমন তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। তিনি বলেন, টাকা ফেরত দেওয়াতেই শেষ নয়, মেয়র তফাজ্জলের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হবে। জবাবদিহি করতে হবে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো: নাসির আহমেদ বলেন, বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের প্রতিটি সংবাদকর্মী দায়িত্বশীল ও সাহসী, ফয়সল খান সেটি তার পত্রিকার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন।
সাধারণ সম্পাদক শামীম শিবলী বলেন, সাংবাদিক কখনো ফ্যাসিবাদ সহ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।
সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ খান পৌরসভার এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সকলের সহযোগিতা থাকলে এমন অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে পিছপা হবো না। জনগণ ও রাষ্ট্রের উপকার হয়, এমন রিপোর্ট সবারই করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :