ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে কুয়াকাটায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কুয়াকাটা পৌরসভার সামনে থেকে ঘুরে এসে সমুদ্র সৈকত টুরিস্ট পুলিশ বক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল গাজা ও রাফা সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পশ্চিমা বিশ্ব একদিকে মানবতার কথা বললেও, অন্যদিকে ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান মুসলিম বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করে বলেন, যারা নিজেদের মুসলিম নেতা হিসেবে দাবি করেন, তারা এখন ইসরায়েলের দাসত্ব করছেন। তারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। মুসলিম সংস্থাগুলোরও ভূমিকা হতাশাজনক—তারা শুধু নীরব দর্শক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটা ইসরাইলি কোন পণ্য চলবে না। ইসরাইলি পণ্যের ডিলাররা কুয়াকাটায় তাদের পন্য বিক্রি করতে পারবেনা। যদি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা বায়তুল আরজ জামে মসজিদের ইমাম ক্বারি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি ইসরাইলিরা মুসলমানদের রক্ত চায় তাহলে বিশ্ব মুসলমান রক্ত দিতে প্রস্তুুত। তবুও ফিলিস্তিনের উপর হামলা বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম কুয়াকাটা পৌর শাখার আমির মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে কুয়াকাটার সকল পেশার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :