কুমিল্লার হোমনায় ব্যক্তির পরিচয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের অভিযানের পরেও এখনো বন্ধ হয়নি। ভাটাটি বন্ধের তিনদিন পরই পুনরায় চালু করে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ, ভাটাটিতে এরপর থেকে পুরোদমে শুরু হয় ইট পোড়ানোর কাজ।
উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর নয়াকান্দি বাজার এলাকায় বর্তমান মালিক দাবি কারি শিমুল মেম্বারের নামে ইটভাটা এই নামে নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও নেই জেলা প্রশাসকের ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, এইসব কাগজপত্র ছাড়াই চলছে এ ইটভাটার কার্যক্রম।
সম্প্রতি জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তায় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.আহাম্মেদ মোফাচ্ছের ভ্রাম্যামান অদালতের মাধ্যমে এ ইটভাটটি বন্ধ ঘোষনা করলেও এখানো পুরোদমেই চলছে ইট প্রস্তুত কার্যক্রম।
উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, শিমুল মেম্বার নামে ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের ইট পোড়ানোর লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্র না থাকায় গত ৫ই জানুয়ারী ২৫ তারিখে একটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.আহাম্মেদ মোফাচ্ছের বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ এ ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ ৩ লাখ টাকা জরিমানা করি ভাটা মালিককে। ইটভাটার মালিক শিমুল মেম্বার জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বন্ধের তিনদিন পর থেকে ইটভাটাতে কাজ করছে শ্রমিকরা। কেউ ইট প্রস্তুত করছে আবার কেউ চুল্লি থেকে ইট বের করে স্টিক সাজাচ্ছে। পুরোদমেই চলছে ভাটার কার্যক্রম।
এ দিকে ইটভাটার ক্ষমতাচ্যুত মালিক কামরুজ্জামান বলেন, এই ইটভাটার মালিক আমি, এই ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্রসহ নানা সমস্যার কারণে এটি বন্ধের আবেদন করেছেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তি জোরপূর্বক ইটভাটাটি দখল করেছে। অর্ধেধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চার সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও রহস্যের কারণে এখনো প্রশাসন বন্ধ করতে পারেনি।
ইটভাটার দাবি কারি মালিক শিমুল মেম্বার মুঠোফোনে বলেন, আমি অনেক লোকশানের মধ্যে আছি, এখানো ইট পোড়ানোর জন্য কয়লা এবং শ্রমিক সংকটে আছি, ইটভাটা বৈধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাবর আবেদন করেছি, এখনো অনুমতি পাইনি।
কুমিল্লা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, ইটভাটা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল, এটি বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছিল। যদি পুনরায় চালু হয়ে থাকে তাহলে সিডিউল অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :