চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে মোস্তাক আহমদ ও রাবিয়া বেগমের পৈর্তৃক বাড়িভিটা প্রতিবেশী বদিউল আলম গং জোরপূর্বক দখলের চেষ্ঠা, নির্মাণ কাজে বাধা, ভাংচুর, হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ করেছেন মোস্তাক আহমদের পরিবার।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২ টায় উপজেলার রেস্টুরেন্ট গ্র্যান্ডয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশী ও নিযার্তিত পরিবার মোস্তাক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ লোকমান হাকিম।
এসময় মোস্তাক আহমদ, তাঁর স্ত্রী রাবিয়া বেগম ও পুত্রবধু রিফা আক্তার, বোন হাসিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার, রোকেয়া বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোস্তাক আহমদের পুত্র লোকমান হাকিম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২৫ ইংরেজি আমাদের পৈত্রিক ও খরিদা জায়গায় বাড়ি নিমার্ণ কাজ শুরু করি। কিন্তু বিবাদী বদিউল আলম (৪৮), জানে আলম (৪৪), ইকবাল হোসেন (৩৪), নাহিদা সোলতানা এ্যানি(৩২)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ধারালো কিরিছ, চাপাতি, ছুরি, দা, লোহার রড, লাঠি ও বাটাম দিয়ে আমাকে, আমার মা রাবিয়া বেগম, রিফা আক্তার ও ভাগিনী কাশমিমকে গুরুতর আঘাত করে জখম করেছে। তাদের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নিমার্নাধীন বাড়ির ওয়াল ভাংচুর করে ও মালামাল লুট করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এরপর তাঁরা পরিল্পিত ভাবে আমাদের নামে ১৮/০২/২৫ ইং লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডাইরী (৮৭৯ নং) মিথ্যা মামলা দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারী, সকাল ১০টায় ঘটনা ঘটলেও তারা ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১২:৫০ মিনিটে উল্লেখ করে। তাছাড়া অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ৪ দিনের মাথায় তাড়াহুড়ো করে চট্টগ্রাম কোর্টে ২২ফেব্রুয়ারী নন এফ আই আর প্রসিকিউশন (১১/২৫) পাঠিয়ে দেয়। আমরাও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিগত ০৪/০৩/২৫ ইংরেজি মাননীয় জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ট আদালত, চট্টগ্রাম এ ভুমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ ধারামতে সিআর মামলা করি। যার নং ১৩০/২৫। বর্তমানে আসামীরা আইনের তোয়াক্কা না করে আমাদের প্রতিনিয়ত জান মাল নাশের হুমকি দিচ্ছে। যার কারণে আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আরো জানান, বিগত ২৯/০৬/২০২২ ইংরেজি তারিখে ইউসুফ আমিনের প্রতিবেদনে আমরা ২৩.২৮ শতাংশ জায়গার মালিক হই কিন্তু আমাদের দখলে ১.১২ শতাংশ জায়গা কম আছে এবং বিবাদীর দখলে জায়গা বেশী আছে। তাছাড়া ২য়বার আমিনের প্রতিবেদনেও মোট ৫ টি খতিয়ানে আমরা মোট জায়গা পাপ্য ২৩.২৮ শতাংশ হলেও আমাদের দখল আছে ২২.১৬ শতাংশ। এখানেও আমাদের দখলে ১.১২ শতাংশ কম আছে। বিগত ২৮/০১/২৫ সালে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) স্বাক্ষরিত মো: সহিদুল ইসলাম সার্ভায়ার এর প্রতিবেদনে বিবাদীর জায়গা আমার দখলে নেই বলে পরিস্কার প্রতিবেদন দিয়েছেন। এতকিছুর পরও বিবাদী বদিউল আলম গং আমাদের বসত ভিটায় বাড়ি নিমার্ণ করতে দিচ্ছে না এবং প্রতিনিয়ত বাঁধা- বিপত্তি, মামলা ও হামলা করে আমাদের হয়রানি এবং নিযার্তন করছে। আমরা জানমালের মারাত্মক ক্ষতি সাধনের পূর্বে থানা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাংবাদিকের মাধ্যমে ন্যায় বিচার আশা করছি।
এসময় লোহাগাড়ায় কর্মরত ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :