রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছে ভাষার অধিকার। ফুল আর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ১২টার আগেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল হাতে জড়ো হন হাজারও মানুষ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টা ১ মিনিটে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এর পর পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,রূপগঞ্জ থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, গণ অধিকার পরিষদ, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব, রূপগঞ্জ সাংবাদিক কার্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালির শোক আর অহংকারের এই মিনার।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের আঘাতে রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।
রাষ্ট্রভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একুশের চেতনার প্রতীক 'শহীদ মিনার' এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।
আপনার মতামত লিখুন :