বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লায় মারপিটের ঘটনায় আহত রাশেদুল হাসান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত (১৪ ফেব্রুয়ারী) মারা যান। মৃত রাশেদুল হাসান পাকুল্লা গ্রামের ছাইফুল ইসলাম আকন্দের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা।
রাশেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বাটালুর ঔষধের দোকান বাড়ি ভাঙচুর সহ আরো ৫টি বাড়ি ভাংচুর হয়।
স্থানীয় ও বাটালুর পরিবারের লোকজনের দাবি, দলবদলকারী জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল, জিএম আলী হাসান নারুন ও জিয়াউল হক লিপনের ইন্দনে তাদের অনুসারীরা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে।
স্থানীয়রা আরো জানান, পাকুল্লায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশাল জলাশয় দখল বাণিজ্যে মরিয়া হয়ে ওঠে জুয়েল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন হান্নান (বাটালু) এতেই শত্রুতার সৃষ্টি। এর কয়েকদিন পর জুয়েল ও তার অনুসারীদের নিয়ে বাটালুর উপর হামলা করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে এতে রাশেদ আহত হয়।
অভিযোগ রয়েছে পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে নিজেদের জায়গা করে নিতে এলাকায় তিনটি গ্রুপ হয়। বিষয়টি নিয়ে জামায়াত নেতা জুয়েল কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। রাশেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন নবী বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যুবদল নেতার মৃত্যুর খবরে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি বাটালু বিরোধী বিএনপি ও যুবদল নেতা কর্মীরা ঔষধের দোকান সহ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে।
আপনার মতামত লিখুন :