প্রায় দিন হোসেন আলি ফাইল হাতে নিয়ে সকালে বেড়িয়ে পরতেন বাড়ি থেকে। হয়তোবা সে সময়ে ঠিক মতো খাওয়া পর্যন্ত ভাগ্যে জুটতোনা। উদ্দেশ্য একটাই কাঙ্খিত স্বপ্নের জমিটি বিবাদীদের কাছ থেকে আইনি লড়াই করে উদ্ধার করতে হবে।
হোসেন আলী মন্ডল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণ পাড়ার মৃত বশির উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে।
তিনি জানান, প্রায় ৯ বছর ধরে ৯ শতাংশ জমি উদ্ধারে থানা পুলিশ ভূমি অফিস পরিশেষে আদালতে গিয়ে জমিটি উদ্ধারের জন্য উকিলের মাধ্যমে আইনে লড়াই চালমান। গতকাল শনিবার বিবাদমান জমির নিরসনে উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী।
তিনি আরো বলেন, অবশেষে গ্রামের গণ্যমান্য লোকজন আমাদের উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আমাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনা শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিতি থেকে আমাকে জমিটি বুঝিয়ে দেন। পরে আমি আমার স্বপ্নের জমিতে আকাশ মুনি গাছের চারা রোপণ করি।
স্থানীয় এমদাদুল হক ও জনি মিয়া জানান, বিবাদমান জমিটি নিয়ে দুই পক্ষের দৌড়াদৌড়ি কোর্ট কাছারি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেই, এভাবে আর কতদিন দৌড়াদৌড়ি চলবে। এতে করে দু'পক্ষের অর্থনৈতিক ক্ষতি করে একে অপরের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। যার ফলশ্রুতিতে গত শনিবার বসে দু-জন আইনজীবীর উপস্থিতিতে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে জমিটি হোসেন আলীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে রবিবার তিনি জমিতে গাছ রোপণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :