Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় চিকিৎসাধীন যুবদল নেতার মৃত্যু


দৈনিক পরিবার | বিকাশ স্বর্নকার ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় চিকিৎসাধীন যুবদল নেতার মৃত্যু

বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপির একই দলের নেতা ও তার লোকজনের হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) দীর্ঘ সময় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রাশেদুল হাসান সোনাতলা উপজেলা পাকুল্যা পুর্ব পাড়ার সাইফুল ইসলাম আকন্দের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকুল্যা বাজারে রাশেদুলের ওপর হামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বাটালু ও তাঁর লোকজন। এদিকে রাশেদুলের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এমএ হান্নানের দোকান, বাড়ি সহ তাঁর সহযোগীদের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে ইউপি বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। 
রাশেদুলের ওপর হামলার কারণ সম্পর্কে তার চাচা সুলতান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে জায়গা করে নিতে এলাকাবাসী তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়। এরফলে এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান। এছাড়াও বাকি দুই পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জিএম আলী হাসান নারুন এবং জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা জুয়েল ১৫/১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্যা বাজারে মহড়া দেন। একই দিন এমএ হান্নান দাবি করেছিলেন, জামায়াত নেতা জুয়েল তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বাড়িতে আক্রমণ করতে যান। এদিকে ওই মটরসাইকেল শোডাউন বহরে ইউপি যুবদল নেতা রাশেদ ছিলেন। জামায়াত নেতা জুয়েল চলে গেলে বিএনপি নেতা হান্নান সহ তার অনুসারীরা রাশেদুলের ওপর হামলা করে বলে জানান মৃতের চাচা সুলতান মাহমুদ। 
এদিকে ইউপি বিএনপি সাবেক সভাপতি জিএম আলী হাসান নারুন বলেন, ৭ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় বাটালু (হান্নান) এর নেতৃত্বে তাঁর লোকজন ধাওয়া করে। রাশেদ প্রাণে বাঁচতে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। 
এবিষয়ে মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, আতর্কিত ভাবে রাশেদের উপর হামলা করে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হান্নান ও তার অনুসারীরা। তাদের হামলায় আহত রাশেদ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। তবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বাটালুর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী বলেন, যুবদল নেতা রাশেদ মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বাটালু বিরোধী বিএনপি ও যুবদল নেতা কর্মীরা চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত রাশেদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি তবে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিরসনে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Side banner