Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

তাহিরপুর শিমুল বাগানে বসন্তের রঙ ভালোবাসার উচ্ছ্বাস


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম তাহিরপুর শিমুল বাগানে বসন্তের রঙ ভালোবাসার উচ্ছ্বাস

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে লেগেছে বসন্তের রঙ। শীতের জড়তা কাটিয়ে প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সেজেছে। নদীর ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে মায়াবী যাদুকাটা, আর তারই পাশ ঘেঁষে বিস্তীর্ণ শিমুল বাগান, যেখানে গাছের ডালে ডালে ফুটে আছে লাল শিমুল ফুলের সমারোহ।
প্রতি বছর পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিমুল বাগানটি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকেন রক্তরাঙা ফুলের সৌন্দর্যে। বাতাসে দোল খাওয়া শিমুল ফুলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাছের ডালে কিচিরমিচির করে পাখিরা, যেন প্রকৃতির বুকে বসন্তের গান গেয়ে ওঠে।
এক পর্যটক দম্পতি জানালেন, ‘ভালোবাসা দিবসে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চাইলে এর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হয় না। আমরা প্রায় প্রতি বছরই এখানে আসি।’
২০০২ সালে লাউরেরগড় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন নিজের প্রায় ২ হাজার ৪০০ শতক জমিতে শখের বসে তিন হাজারেরও বেশি শিমুল গাছ রোপণ করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গাছ আজ সুবিশাল শিমুল বাগানে রূপ নিয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃতির এই অনিন্দ্যসুন্দর শোভা উপভোগ করতে আসা অনেকেই ক্যামেরা হাতে স্মৃতি বন্দি করতে ব্যস্ত। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষকে নিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘শিমুল বাগানকে কেন্দ্র করে আশপাশে ছোট ছোট ব্যবসা বেড়ে উঠছে। পর্যটকদের আনাগোনায় এখানকার অর্থনীতিতেও পরিবর্তন আসছে।’
শিমুলের এই রক্তিম সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক পাড়ি দিচ্ছেন দুর্গম পথ। কেউ আসছেন ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ প্রকৃতির এই অসাধারণ শোভা নিজের চোখে দেখার জন্য। বসন্তের বাতাসে দোল খাওয়া শিমুল ফুলের লাল চাদরে মোড়ানো এই বাগান যেন হৃদয়ের অন্দরমহলে ভালোবাসার রং ছড়িয়ে দেয়।

Side banner