বাগেরহাটের শরণখোলায় মহিমা আক্তার (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের মা মিনারা বেগম বলেন তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কৌশলে মেরে ফেলেছে। অন্যদিকে নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন বলেন, তার পুত্রবধূ ভোররাতে ঘর থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেখান থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন পহলানের পুত্র ইসরাফিল পহলান এর সাথে ১২/১৩ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কন্যা মহিমা আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মহিমার স্বামী ইসরাফিল ২০১৯ সাল থেকে সৌদিতে অবস্থান করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাড়িতে এসে ছয় মাস পর আবার সৌদি চলে যায়। গত দুইদিন আগে মহিমা শ্বশুর বাড়ি চলে আসে কারণ তার ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে সেখানে তার দেখাশোনা করার জন্য।
নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে তার পুত্রবধু মহিমা ঘর থেকে বের হয়ে পুকুর ঘাটে ওযু করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মহিমা শাশুড়ি রুবি বেগম ও ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যায়। এসময় রুবি বেগম পুকুর ঘাটে মহিমা বেগমের চিৎকার শুনে তার স্বামী রুহুল আমিন কে ডাক দেয়। তারা এসে ময়না বেগমকে পুকুর ঘাটের অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে সকাল আটটার দিকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
নিহতের মা মিনারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মহিমাকে নির্যাতন করে আসছিল। এ মৃত্যুর ঘটনায় তাদের হাত থাকতে পারে।
নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ভোররাতে পুকুর ঘাটে অজু করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়।
অন্যদিকে মহিমার মা বলেন, তিনি শরণখোলা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন।
শরলখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :