জমি সংক্রান্ত বিরোধে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বড়সরা গ্রামে সালিশ বৈঠকে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বড়সরা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম এ দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মীমাংসার জন্য আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটায় খাগুড়িয়া ইবেতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে দুপক্ষের লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠক বসানো হয়।
সালিস বৈঠকের একপর্যায়ে সুমিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি সালিশ বৈঠকের ছবি ও ভিডিও করতে থাকে মুঠোফোনে। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লাঠিসোটার আঘাতে উভয় পক্ষের ১৫ গুরুতর আহত হয়। লাঠিসোটার আঘাতে গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গুরুতর আহত তানজিদ, জোসনা বেগম ও নাসির উদ্দিনের অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বড়সরা গ্রামের আহত নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন দখলের পাঁয়তারা করছে। মীমাংসার জন্য আজ মাদ্রাসা মাঠে বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও তোলা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আমাদের ৭/৮ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
অপরপক্ষ আহত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমি আমরা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সালিস বৈঠকে ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয় খাগুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, শালির বৈঠকে দু পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, দুপক্ষের মধ্যেই মারামারি হয়েছে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :