দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা পাথরঘাটায় পল্লী বিদ্যুৎ এর ভূতুড়ে বিল ও তার সংকটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। পাথরঘাটা রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ এর গ্রাহক। বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে মিটারের বিলের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে প্রদেয় বিলের কপিতে উল্লেখিত ইউনিটের রয়েছে আকাশ পাতাল ব্যবধান।
গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ এর মাঠ কর্মী বাড়িতে না এসে অফিসে বসেই পূর্বের মাসের গড় অনুযায়ী বিল প্রস্তত করে।
পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানায়, বিগত ৪ মাসে আমার দোকানে শুধুমাত্র চারটি বাল্ব জ্বলেছে সেখানে আমার বিল এসেছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। এমন ভূতুড়ে বিল থেকে আমরা পরিত্রান চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার দোকানে নিজস্ব মিটার নেই বর্তমানে আমার দোকানে সাব মিটারের সংযোগ দেয়া রয়েছে। সম্প্রতি আমি মিটারের জন্য আবদেন করেছি অথচ ৩ মাসেরও অধিক সময় পার হলেও মিটার পাইনি। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত তার না থাকার কথা জানায়। কিন্তু জনৈক এক ব্যক্তি ১৫০০ টাকার দিলেই তারের ব্যবস্থা করে দিবেন বলেছেন, যেখানে এই তার আমাদের বিনামূল্যে পাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আব্দুস সালামকে। তবে জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পাথরঘাটা এরিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সার্ভিস লাইনের তারের কোন সংকট নেই বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা পরিচালক আব্দুর রহিম কিন্তু পাথরঘাটা অফিস থেকে তার সংকটের বিষয়টি তার বোধগম্য নয়।
এই ইস্যুতে প্রবীণ সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, পাথরঘাটা একটি পল্লী অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও এখানে পল্লী জনসাধারনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎ ও অনেকটা উদাসীন, আমার কাছে এমন অভিযোগ এসেছে যেখানে কোন মিটার পুঃন সংযোগ দিতে হলে সেখানে গ্রাহককে অর্থ প্রদান করতে হয় যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, জনগণের আস্থা পেতে হলে অবশ্যই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দূর্ণীতি মুক্ত গ্রাহক বান্ধব হতে হবে।
উল্লেখ্য, পাথরঘাটায় রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসি, ফলে এখানে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা একান্ত জরুরী। যেহেতু দেশের মৎস খাতের সিংহভাগই যোগান দেয় এই মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি, তাই সঠিক সময়ে বিদ্যুতিক সংযোগ না থাকলে দেশের মৎস খাত অনেকাংশেই পিছিয়ে পড়বে বলে আশংকা করছেন সুশীল সমাজ। তাই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এই উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখা এখন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন :